কবি
সুকান্ত—
— বিদ্রোহ ভুলেছি আজ আমরা
স্তব্ধ কণ্ঠস্বর আর আওয়াজ তোলে না,
মুষ্টিবদ্ধ হাত এখন ছড়ানো ছিটানো
রক্তিম সূর্যটা গ্রহণের গ্রাসে ।
সুকান্ত—
তোমার অতৃপ্ত আত্মজ– আমরা আজ নরপিশাচ অথবা দোরে দিয়েছি খিল
আর কোনো আন্দোলন দানা বাঁধেনা বুকে
এখন কেবল নিরাপদে দিন যাপন ।
সুকান্ত,
যে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল একদিন তোমাদের হাত ধরে —
তা এখন পরকীয়ায় সীমিত ।
আমাদেরই ঘরের মেয়ে লাঞ্ছিত হয় অগ্নিদগ্ধ হয়
তবু আমরা নির্বিকার নিঃশ্চুপ ।
ধর্ষিতা কে আড়ালে পুড়িয়ে মারা হয়
বাপ-মায়ের চোখের জল কেনা হয় চড়া দামে
তখনও আমরা বোবা শ্রোতাদের দলে ।
সুকান্ত–
যে বাংলার বিদ্রোহ তোমার মনে আগুন ধরিয়েছিল একদিন —
আজ তা চিতাভষ্ম।
এখন আমরা রোমাঞ্চিত হই না এ দুর্ভাগা বাংলাকে দেখে ।
বাংলা এখন উৎসব শেষে নদীর ধারে পরে থাকা বাতিল কাঠামো ।
উত্তাপ হীন শীতলতার স্পর্শ আমাদের মেরুদণ্ডে ।
মার খাওয়া আর ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য ভিক্ষা — এখন এই বাংলার রূপ ।
সুকান্ত—–
ফিরে এসো তুমি আবার এ বাংলার ঘরে
এখন তোমাকে বড় প্রয়োজন,
আমাদের ছড়িয়ে থাকা আঙুল কে শেখাও আবার মুঠো করতে
আরও একটা আন্দোলনের হোক সূচনা