আমাকে একশো এক পরমায়ুর ভার্জিন দৃষ্টিপাত দাও ।
আমারই সহস্র মুখের বনানী ছায়ায় ঘুমিয়ে আছে
নবজাতকের অনাবিল আরণ্যক মুখ ।
আমি আর একবার দেয়ালা- দ্যুতিতে
দেবশিশু হতে চাই !
নিয়মের ছিদ্র চুঁয়ে চুঁয়ে অনিয়মের চড়া
পড়ে গেছে প্রাত্যহিকী পাঁচালির জিভে ।
বিদগ্ধ অভিজ্ঞতা এসে ভোঁতা করে দিয়ে গেছে
মৌলিক আনন্দের উৎস-সূচিমুখ ।
পঞ্চমীর গোধূলিতে একটিমাত্র ঢাক বাজে
আগমনী লয়ে ।
এক মাঠ সবুজ খুশিতে ভরে ওঠে
জাতকের দিগন্ত -বুক ।
সেইসব জাতকেরা দীর্ঘতর হলে ভুলে যায়
সন্তুষ্টি –জটিল মন্থনে নয় ,
সারল্যের বিস্ময়ে মধু স্বাদ পেলে ।
অনন্তর , আমাকে একশো এক পরমায়ুর
ভার্জিন দৃষ্টিপাত দিয়ে শুদ্ধ করো ।
আমি একবার সজ্ঞানে নবজাতকের
উল্লাসে সারল্যের মধু -স্বাদ পেতে চাই !