নীল আকাশের নীরব কথা, শিশির ভেজা ব্যাকুলতা একলা থাকায়।
শ্রাবন ধারায় সবুজ পাতায় বৃষ্টির ফোটা একলা ভেজায়।
যেমন ঝরতে থাকা হলুদ পাতার একলা ব্যথা, বাঁশির সুরের করুন কথা একলা চলার।
হেতাল বনের পথে পথে আবহমানকাল দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি গাছ একা,একলা অপেক্ষায়।
প্রেমিক বুকে কারণে অকারণে একলা লাগা। তবুও ভালো থাকা। একলা তুমি একলা আমি। একলা আমরা সবাই।
কষ্ট পেয়ে নষ্ট হবে তবুও প্রেম সেখানেই দেবে,নারীর বুকে চির আঁধার…!
স্নানের ঘরে শাওয়ারের নিচে ভিজতে থাকা নোনা জলে,মন কেমনের একালা লাগা.. জড়িয়ে ধরা চেনা বালিশে বিনিদ্র রাতে একলা বাঁচা।
প্রত্যেক মানুষই একলা। চিবুকের সেই লালচে তিল টার কাছে আজও আমি অচেনা আর একলা।
তবুও আমার নীল আকাশ আছে, মিঠেল দক্ষিণা বাতাস আছে।
তারায় ভরা জোৎস্না রাত আছে, ডানায় মোড়া সোনালী নরম পাখির মতো শেষ বিকেলের আলো আছে।
চাঁদভাসি রাতে নির্জনে একা বসে নিজের মনে নিজের সঙ্গেই কাটা কুটি খেলা আছে।
অমাবস্যার রাতে জোনাক আলো, সেই আলোতে পথ চলা। পথের শেষে কি আছে? দেখো, ওই তো আর একটু ওইদিকে একা একলা…..
বল পথের শেষ কোথায়!
কী আছে ওই পথের শেষে!
“এত কামনা এতো সাধনা কোথায় মেশে…”