ফিরে যেতে চাই প্রকৃতির কাছে ,
ফিরে যেতে চাই নদীর কাছে ,
যে আমাকে বহমান হতে বলেছিল ।
যে আমাকে গর্জন শিখিয়েছিল ,
যে আমায় অসময়ে জীবনের গান শোনাত।
একটা শৈবাল ফেলেছিলাম তার বুকে ।
সেই দুঃখে রাগে সাতদিন আমাকে শোনায় নি কোনো গান।
আমি তার কাছে ফিরে যেতে চাই ,
এই সন্ধ্যায় ।
এখন শরীরের গ্রন্থীতে গ্রন্থীতে মুঠো মুঠো কোলাহল, বিশৃঙ্খল ।
বাইরে বসেছে ক্যাম্প,
দশটা জওয়ান তাক করে আছে আমার দিকে দশটা রাইফেল।
আমি ছুটে গেছি পাহাড় চূড়ায়
শুধুই দেখেছি ক্ষত, পূঁজ নিয়ে কাঁদছে বসুন্ধরা,
দু_হাতে কাঁদা মেখে।
বাইরে দশটা জওয়ানের রাইফেল আমার দিকে ,
এই বিবর্ণ সন্ধ্যায়।
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের শেষ সীমা যেখানে আকাশ উপুর হয়ে মিশেছে ।
সেই রাইফেল হাতে দশটা জওয়ান
যারা আমাকে সহবৎ শেখায়।
ফিরে যাচ্ছি গভীর অরণ্যে,
যেখানে মাঝরাতে গাছেরা মিছিল করে।
শুধুই বলেছে তারা স্মৃতি হতে রাজী ?
টুপটুপ জোনাকিরা উড়ে যায় শিশিরের ভয়ে ।
আমি ফিরে যেতে চাই প্রাচীন শতাব্দীর বটবৃক্ষ ,
যা আজো একই ভাবে অমলিন ।
লাখো লাখো কবন্ধ পড়ে আছে তার পদতলে।
অনেক কষ্টে করপুটে অঞ্জলি নিয়ে বলি,
বাড়াও তোমার পদধূলি,
একঝটকায় বলে ফেলি __
একটা চুম্বন দাও হে মহাকবি।
আমার ললাট জুড়ে,
তাহলেই __
শতাব্দী শতাব্দী ধরে
আমি হেঁটে যেতে চাই
পৃথিবীর বুক জুড়ে ,
মৃত্যুর পরে, বিস্মৃতি জুড়ে ।