কার্নিশ ঘেঁষে কিছু ফুল শিশির মেখে অপেক্ষায়
কখন সূর্য এসে ছুঁয়ে যাবে তার ত্বক, স্তন, মন
আগামী শতক গাইবে কি প্রেম, প্রতীক্ষিত ভ্যালেন্টাইন্স
দুঃখ শুধু চোরা স্রোতে ভেঙে যায় শতকের সাজানো বালিঘর।
হেতাল গাছের ছায়ার অপরিবর্তিত ফাঁকে , ফাঁকে ঢেউ গোনে
যেতে ,যেতে পড়ন্ত বেলায় অস্তগামী সূর্য
হয়তো প্রেমের টানেই ঘরে ফেরা, উড়ন্ত বিহঙ্গ –
সে ডাক শোনার অভিপ্রায় গোধূলির প্রতীক্ষায়।
ঈশান কোণে জাগছে অবহেলিত সংসার ঘুমন্ত
ভাঙাচোরা যত সব জীবন – কেন যে বাড়ন্ত
কাঁঠাল বন যেন নকশা কেটে যায় অজানা তেপান্তরে
আজও সন্ধ্যায় কি ঘরের বাহির হবে দ্রাবিড় জোনাকিরা ?
তবুও বিপদজনক ক্ষোভগুলো দুপায়ে মাড়িয়ে ফিরতে চাই
পেছনে চূর্ণ – বিচূর্ণ হয় অনভিপ্রেত যত অহংকার
একদিন অনেক জমানো সব স্বপ্ন যা শতাব্দী পুড়িয়েছিল
সেলুলার জেলে আজও কি অপেক্ষায় অতৃপ্ত বিপ্লবীর আত্মা।
বড় দুর্গন্ধ আধুনিক নগ্নতায়
সঙ্গম ব্যভিচার প্রেমের গলা টিপে মারে অহরহ
লজ্জায় অধোবদন পরিচয় গোপন করে –
দেশত্যাগ করেছে সুখের ঘর ।