উত্তরণ – 4
অমিত ঋদ্ধির কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো। সপাটে বলে দিলো – ঋদ্ধি নিজের থেকেই মেকানিক্যাল পাপেট তৈরি হয়েছে , এর জন্য সে একাই দায়ী। তার উচ্চাকাঙ্খা, মোটা টাকার মাইনের স্বপ্ন , সমাজে নাম হওয়া – এই সব দায়ী। তার বন্ধুরা চাইলেও এইটা অন্তত চায়নি যে এই সব জাগতিক বিষয়ের পেছনে দৌড়ে ঋদ্ধি বর্তমান সমাজকে অস্বীকার করে আর আজ সে তাই করে চলেছে। ঋদ্ধির শেষ মিটিংটা যে অসফল হয়েছে তা যদি সফল হতো তখন যে ইনসেনটিভ ঋদ্ধি পেত যা সে এর আগেও পেয়েছে সেই অর্থের ভাগ সে কি বন্ধুদের দিত ? হয়ত একদিন পার্টি দিত। সেই পার্টিতে নিশ্চয়ই ঋদ্ধির সব টাকা উড়ে যেত না ? আর তার বন্ধুরা কেউ তা আশাও করে না। আজ সে অসফল না হলে কি আজকের দিনটা দেখতো ? তার সঙ্গে চালু প্রবাদটাও জুড়ে দিল ” নাচতে না জানলে উঠোন ব্যাঁকা “।
ঋদ্ধি অমিতের খোঁচাটা প্রায় বাধ্য হলো হজম করতে।
কিছুক্ষণ ভাবলো ঋদ্ধি। শেষে বলে উঠলো – তুইই ঠিক। সত্যি আমি ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। ফিরতে হবে আমাকে স্বাভাবিক জীবনপথে। আমি ফের বাঁচবো সবার হয়ে সবার মাঝে সবার সঙ্গে। তোরা সঙ্গ দিবি তো। অমিত ভালোবাসার হাতটা ঋদ্ধির পিঠে রেখে বলল – আমরা আছি। শুরু হোক তোর উত্তরণ।