নোনালাগা হৃদয়ের বিস্তীর্ণ ঊষর ভূমিতে আমার ইমারত,
সেখানে স্বপ্নবিলাসীদের প্রবেশ নিষেধ,
সুউচ্চ অট্টালিকার তলায়
চাপা পড়ে আছে স্বপ্নের কারিগর,
পলেস্তারা খসে পড়া ইঁটের খাঁজে খাঁজে
আস্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে নীরব কাব্যের আখ্যান,
কল্পনার ডানায় ভর করে এগিয়ে চলে সভ্যতার পরিনাম।
ভাঙ্গা জানালার কার্নিশ ছুঁয়ে
ভেসে আসে বিদগ্ধ স্মৃতির পোড়া গন্ধ,
দালানের জমাট বাঁধা অন্ধকারে
শোনা যায় অহংকারের গর্বিত পদধ্বনি,
দুর্ভেদ্য অট্টালিকার বারান্দায়
গোপন আস্তানা গড়ে অভিমানী মন,
ক্ষয়িষ্ণু আঁধারের দরজায় কড়া নাড়ে অভিসারী রাত,
নিকোটিনের ধোঁয়ায় সুসজ্জিত মহাকাল
জানান দেয় তার অটল উপস্থিতি,
প্রতিমুহূর্তে সে বিকট অট্টহাস্যে
নিংড়ে নিতে চায় জীবনের সকল রঙ,মাধুর্যতা।
অবৈধ নাগরিক চাঁদও ছুঁতে পারেনা
ইমারতের চূড়াকে ভয়ঙ্কর হিংস্রতার প্রাচীর ডিঙিয়ে,
দুঃখের ফেনিল সাগরে সাঁতার কেটে এগিয়ে চলে
একাকী রাতের বন্দী স্বপ্নপরী,
ক্লান্ত প্রহর ইশারায় খুঁজে ফেরে
জ্যোৎস্নামাখা একচিলতে ভালোবাসার উপত্যকা।
তবুও,নির্জন শহরের বুকে ভোরের সোনালী সূর্য
মৃত্যুপরোয়ানা হাতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় নিরবধি।
বিষাদের ঘরে জমা পড়ে থাকে বিরহের ছাই-ভস্ম,
অবশিষ্ট জীবন নির্দ্বিধায় পুড়তে থাকে
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি নিঃসৃত লাভার বুকে।