তোমার ঠোঁটের কোণের ওই
সম্মোহনী চিরায়ত আহ্বানের ইশারায়
আর্দ্র অমোঘ আমন্ত্রণ বুকে নিয়ে আমি বেঁচে থাকবো সারাজীবন।
শ্রাবনের জলে, সহস্র অঞ্জলিতে ভাসিয়ে দেব আমার অনব তুল মনের দেহাবরণ।
তুমি বর্ষার জলধারায় সিক্ত হয়ে
লাজুক রৌদ্রের উষ্ণতায় শুকিয়ে নেবে নিজেকে।
যে শরীর অবাধ্য স্রোতের কাব্য এঁকে দেয়
অতনু রতির আগুন ঝড়ানো ছবি;
তুমি তার শরীরে এঁকে দিও না অশ্রুবিলাপ !
দুঃখগুলো বন্ধক রেখো চোরা কুঠুরিতে।
আটপৌর শূন্যতায় ভরিয়ে দিওনা সিন্দুক ,
হয়না যেন বেদনাকে নিয়ে নকল সচ্ছল ঘর।
নকশী কাঁথার গল্পের সুবাস ছড়িয়ে বেঁচে থাকবো,
গোধূলির বাসর ঘরে জ্বালাবো প্রেমের প্রদীপ।
তুমি আসবে, নিশ্চয়ই আসবে কোন একদিন
জ্যোৎস্না ধোয়া চাঁদের নরম আলো হয়ে।
আমি রইব অপেক্ষায় নীলাভ স্বপ্নীল চোখে
অনুরাগের মায়া কাজল পড়ে ইমন রাগিনীর মধ্য রাতে।