কফিন বন্দি শরীরটা আজও খোঁজে কি জীবন্ত দেহের গন্ধ !?
আজও কি বেঁচে থাকার স্বপ্ন গুলো তার দু-চোখের পাতায় ?
এখনও চোখের তারায় স্থির আছে কি ! বিগত দিনের সাজানো ঘরের ছবি ?
কি অপরাধ ছিল , বুঝে ওঠেনি সে ।
কফিনে বন্দি শরীর– পুঁথি গন্ধ ছড়ায়—
সমাজের না কি শরীরের!?
নারী পুরুষের সাম্যতার কথা বলো তোমরা
তবে আজও কেনো ধর্ষিতা হতে হয় — পাঁচ থেকে পঞ্চাশ !
মাটির মায়ের পূজা করো তোমরা আশার বেদীতে ।
অনাহূত মৃণ্ময়ী —
তার শরীরের প্রতি অংশ ছিঁড়ে খাওয়া যায়– ভোগ করা যায় লালসা নিয়ে ।
শুধু সম্মান করা যায় না , যায় না ভালোবাসা —
অবাক লাগে —
একবুক বিস্ময় নিয়ে কফিন বন্দি মেয়েটা ।
যে পথ চলা ছিল এখনও বাকি—
থমকে গেল সে পথ পথের বাঁকে এসে ।
ছায়া ছায়া স্বপ্নময় দিন আর আগামীর প্রতিশ্রুতি ছিল কানে
কিছু দেওয়ার কিছু নেওয়ার অঙ্ক ছিল বাকি ।
কফিন বন্দি শরীর এখন নিঃপলক—
মর্গের কড়িকাঠে চোখ স্থির ।
আচ্ছা! — ও চোখে কি আজও আর স্বপ্ন বাঁচে ?!
আর কি সে স্বপ্ন দেখে তার ছোট্ট খোকার !?
মৃত্যু—- সে তো আসবেই । কিন্তু এ ভাবে না হলেই পারতো ।
বড় নিস্তব্ধ বড় শীতল এ মর্গের ঘর ,
এখানে চিন্তার নেই অবকাশ।
মাঝে মাঝে ছুড়ি কাঁইচির নির্মম শব্দ
এখন আর ভয় লাগে না ।
প্রাণহীন শরীরটার ভয় পাওয়ার ও কিছু নেই ।
এক আঁচল নীল আকাশ—
খামচে ধরা হাতের মুঠোয় একটু সুখ আর মাথা রাখার জন্য একটা প্রশস্ত বুক—
এর বেশি তো চাওয়া ছিল না !
এখন বুকের পাঁজরে থাকা হৃদপিণ্ড টা আর আওয়াজ তুলবে না , চাইবে না নেলপলিশ লিপস্টিক অথবা আলতা সিঁদুর ।
অভিমানের সুরে বলবে না — “এত দেরি করে ফিরলে কেনোও ” ?
কফিন বন্দি মেয়েটার আর স্বপ্ন দেখবে না ….