আশা নিরাশায় দোদুল দুলছে মন
মধু না নবীন কোন সেই গুণীজন,
আশা নিরাশার কে লেখে কবিতা খানি
দুজনেই কবি দুজনেই শিরোমণি।
ধন্য আশা কুহকিনী টাই কবি নবীনের শুনি।
বড়ো আশা করে কলম ছোঁয়াতে মহাকাব্য লেখে তিনখানি।
ধ্রুপদী কাব্যে মানুষের মনে সম্ভ্রম পান তিনি
রৈবতক, কুরুক্ষেত্র ও প্রভাস মহাকাব্য রত্নখনি।
মধুকবি গায় আশার ছলনে ভুলি কি ফল লভিনু হায়
জীবন প্রবাহ বহি কালসিন্ধু পানে ধায় ফিরাব কেমনে।
ভাগ্য বিড়ম্বিত কবি প্রেম ভিক্ষা চায়
হেথা নয় হেথা নয় ঘুরিয়া বেড়ায়।
ইংরেজ কবি মিল্টনের প্যারাডাইস লস্ট মনে প্রেরণা জাগায়
ইংরেজিতে কাব্য লিখতে তার বাসনা হয়।
অবশেষে স্বপ্ন ভঙ্গে মাতৃ ক্রোড় চায়
বিদ্যা দেবী বেদবতী স্নেহে ধরা দেয়।
অসাধারণ কাব্য আসে নব্য চেতনায়
বঙ্গকুল আপ্লুত মধুর কাব্য ভাবনায়।
মাতৃভাষায় সনেট আসে ছন্দ অমিতাক্ষর
বঙ্গাকাশে শ্রী মধুসূদন ধূমকেতু স্বাক্ষর।
নিরলস সাধনায় অমর মহাকাব্য রচিত হয়
মেঘনাদ বধ, তিলোত্তমা, ব্রজাঙ্গনা, বীরাঙ্গনা প্রশংসা কুড়ায়।
স্বর্ণযুগে বাঙালি পায় শ্রেষ্ঠ কাব্য খনি
হেম, নবীন, মধু কবি বাংলার শিরোমণি।