শ্মশান পোড়া গন্ধ আসে উত্তরের ঐ জানলা তটে
আপন খেয়াল ইতিহাস ঐ মানুষগুলো মারলো বটে
বিশ্ব যে আজ বিরাম পুরের জ্যান্ত প্রজা
রাজা তোমার মুকুট কোথায়?
মুখোশ পূজায় আজ দশ দরজায় সবাই রাজা,
স্বর্গ ফাঁকা হয় পূজারীর; বৃথাই যেন প্রয়াস থালা
ধ্বংস গ্রহণ করেছে সহন মানব হবে জয়ের মালা,
মারণ গ্রহণ লেগেছে যেথা শ্মশান সাজে বিশ্ব হেথা
কর্ম ভুলে জীবন চুলোয় গগন রাঙ্গায় যোমের পিতা।
অপলক তাই স্বতন্ত্রের হাতে বিশ্ব সমাজ;
গ্রাস লীলা আজ আপন স্বপন
অপেক্ষার চাতালে অপেক্ষার দাবি রোধে আছি উপবাস।
পৃথিবীর সুতো ধরে টেনে রাখো
আমরা সবাই প্রাণ মায়ার মায়া পাখি
মায়াতে বিছাই সকল প্রয়াস আচরণ তাই সচেতন মাখি,
কারাদণ্ডের গণ্ডী হতেও মায়া দিয়ে পৃথিবীকে দেখি
আমি বেঁচে রব, আমি মরে যাবো,এই গণ্ডী আঁকি
তবু কেন কাক হয়ে কোকিলের ডিম পুষি?
উত্তর ভাবা নেই প্রশ্নের কোচড়ে
এখনই খিদের মোচড় দেবে পেটের ভিতরে,
আর কোন নদী খাল বন পাখি
কবির কবিতায় করবেনা ডাকাডাকি,
বিশ্ব কাতর আজ বিশ্বের সক্রমন ঢাকতে
পুজোপাঠ হয় দিনরাত মহামারী ঠেকাতে,
নিমজ্জল কেন্দ্রোবিন্দুর উজ্জ্বল সমতুল আনতে
প্রার্থনায় বসেছে মহাগুনী জ্ঞানী ,জ্বলবে আবার কোন সলতে।