সর্বদা-ক্ষুধার্ত এক মাংসাশী পাখিকে প্রায়শ
আমি তো আপনকার মাংস কেটে কেটে খেতে দিই
একটু একটু ক’রে। ওর অনুমতি ছাড়া আকাঙ্ক্ষিত আলোকপুরীতে
প্রবেশ নিষেধ জেনে নিজের শোণিতধারা দিয়ে
কয়েকটি পঙ্ক্তি লিখে পাখিটির দিকে তুলে ধরি। হেলাভ’রে
দেখে নিয়ে একটু কেশে দেয় সে বাড়িয়ে
পাইপের মতো চঞ্চু তার। আমি মাংস কেটে খেতে দিয়ে ভাবি,
এভাবেই এই আমি এতদিনে হয়েছি কঙ্কাল।
কিয়দ্দূর থেকে এক অর্ধ-উজবুক অর্ধ-উন্মাদের হাসি
ভেসে আসে; আমার শরীরের আর মাংস অবশিষ্ট নেই দেখে
পাখি পথ ছেড়ে দেয় শেষে। আমি কিছু দূর
হেঁটে গিয়ে দেখি এক অন্ধকার সিঁড়ি
বহু নিচে নেমে গেছে, পাতালে বুঝি বা। সিঁড়িময় চামচিকা,
বৃশ্চিক, কাঁকড়া আর ইঁদুর, বাদুড়। মাঝে-মাঝে ক্ষণিক জোনাকি-জ্যোতি যেন
চোখে পড়ে; আখেরে আলোকপুরী যদি
না-ই দেখি, তাহ’লে কী হবে?