তোর আসার পথ চেয়ে মা, ব্যাকুল চোখের জলে,
ত্রাহি রবে মর্ত্যবাসী ডাকে, ‘বাঁচাও’ ‘ বাঁচাও বলে।
নিজ হাতে করলি সৃজন, অপরূপ এই ধরা,
আঁতকে উঠবি দেখলে মা, ক্রোধে হবি তুই সারা।
নরপিশাচে ছেয়ে গেছে গো,এই পৃথিবীর মাটি।
পুঁতি গন্ধ ধরাধামে মাগো,কেমন করে যে হাঁটি।
নারীধর্ষণ রোজ হয় মা,শিশুর বেলাও তাই।
ত্রিনয়নের অগ্নিবাণে মা,করিস এদের ছাই।
তোর সন্তান কেউ গরিব,কেউবা বিলাসী নেতা,
আম জনতার দুঃখ বাড়ে,দেখার নেই গো হেথা।
বিবেক বুদ্ধি লুপ্ত যাদের,নেই কোন মানবতা।
সাম্যের বাঁধনে বেঁধে দিয়ে, জাগাস মনে একতা।
তোর আশিসে সিক্ত যদি মা,ভবের মানুষ ‘সবে,
বৈষম্যের ঐ পাঁচিল ওরা,তুলছে কেনই তবে?
রুদ্রাণী, তোর রুদ্র রূপেতে, জাগ মা এবার রোষে,
লোভ- লালসাতে মত্ত যারা,আন গো ফিরিয়ে হুঁশে।
ঠিক জানি মা,আশিস দানে,পারবি জ্ঞানটা দিতে।
সর্বজয়া কল্যাণী মা তুই, থাকিস সবার হিতে।
জগৎকল্যাণী মাগো ,তুই ছাড়া কে আছে?
সন্তানেরে দিস মা আশিস,আরাধনা তোর কাছে।