আমি নারী, সৃষ্টিশীলতার প্রতীক..
সূর্যের প্রথম আলোয় উদ্ভাসিত স্বপ্ন সন্ধানী স্বত্তা।
যে হলকর্ষণে আমার উর্বর মৃত্তিকায় ,
অঙ্কুরোদগমে শিশু কিশলয় মাথা তোলে,
তা শুধু পালন করিনা,রক্ষা করি এ জগৎ সংসার।
আজন্মকাল হতে ভরসার পুরুষের বেঁধে দেওয়া
ঠুলি চোখে ধরি স্নেহ,মায়া,বন্ধন সমতা দাঁড়িপাল্লা।
সূর্যালোকে সদ্য প্রস্ফুটিত ফুল আমি
কখনো বিশুদ্ধ প্রেম ভালোবাসার বন্ধনে
আবেগের বিচ্ছুরণে হই প্রেমিকের শ্রেষ্ঠ উপমা।
স্বপ্নচারিনী আমিটা কখন যে অজান্তে একবুক প্রত্যাশায় ভালোবাসার সমুদ্রে অবগাহনে মাতি
প্রেমিকের বাহুবন্ধনে মমতাজ হয়ে ওঠা সুখচরে।
সেরা ঝলমলে প্রাণ চঞ্চল প্রজাপতি,সেরা ফুলে
হঠাৎ কম্পন ,দোষারোপের ঝড়ো হাওয়া।
নিমেষে গুঁড়িয়ে যাওয়া ধেয়ে আসা অকল্পনীয় নিষ্ঠুর বাক্যবান তকমায় তছনছ দিশেহারা আমি..
এমন তো চাইনি,আলোর দিশায় চেয়েছি তাজা ফুল হয়ে ফুটতে,পূর্ণিমার নিটোল চাঁদ হতে,
কিন্তু ব্যবহার ও ভোগ্য পণ্যের পর ধেয়ে এসেছে
কলঙ্কের ক্ষতবিক্ষত খোঁচা!
সম্ভোগ উপাচারের সকল কিছু মজুত থেকেও অভিযোগের বল্লম খোঁচায় কর্তৃত্বের হাত বদল
প্রথম পুরুষ প্রেমিক থেকে দ্বিতীয় পুরুষে! ক্ষমতার হস্তান্তরে দুমড়ে-মুচড়ে পদদলিত করার অদম্য প্রচেষ্টায় তবুও নারী স্বত্তাকে অঙ্গুলি হেলন।
সমাজ-সংসার মায়াজালে স্রোতস্বিনী নদীরূপ
নারী আমি আজও বহমান আপন মূল্যায়নে।
নিজ সম্ভমরক্ষাকারী স্বত্তায় স্বকীয় মহিমায় পথ খুঁজি উপমা কলঙ্কের নুড়িপাথর জর্জরিত হয়েও,
এভাবেই যুগ যুগ ধরে প্রাণ পায় মানবী স্বত্তা।
নারী যত তুমি আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইবে দায়িত্ব,
শান্তি সৃষ্টি শীলতায় সমাজ সুখ সংসার ,
বারে বারে দোষারোপ আছড়েও কাছে পাওয়ার অদম্য আকাঙ্খায় প্রথম-দ্বিতীয় তৃতীয় এভাবেই
হাতবদলে সামিল পুরুষের আরোপিত কন্ঠ।