লীগে আমি লিখবো বলে ভেবেছি এক পদ্য,
অনেক ভেবে কিছুতেই যে আসছিলো না শব্দ।
রেগে গিয়ে কলমটা যেই রেখে দিলাম পাশে,
নতুন নতুন শব্দ কত খিলখিলিয়ে হাসে।
কলম দিয়ে যাচ্ছি লিখে শব্দগুলো যত,
দেখি শেষে কবিতাটা হলো মনের মতো।
আমি হলাম গৃহবধূ ,ঘরের কর্ম করি,
সাতসকালে ভজন গেয়ে সুখের স্বর্গ গড়ি।
বাসন মাজা ,কাপড় কাচা, সব কাজেতেই পটু,
রান্নাবান্নায় পারদর্শী শুধু একটু মোটু।
পড়াশোনায় মোটামুটি,ছেলে মানুষ করি,
এইভাবেই তো যাচ্ছে চলে আমার জীবন ঘড়ি।
ছেলে মানুষ করার পরে আমার লেখা শুরু,
কিছু বানান ভুল যে হতো পেলাম অনেক গুরু।
শুরু হলো নানান লেখা মজার মজার গল্প,
কবিতাটা লিখে যেতাম খুবই অল্প স্বল্প।
ধীরে ধীরে পরিচিতি পেলাম লেখার ফলে,
মগজটা যে ভালোই ছিল অনেক দাদা বলে।
চুপিচুপি বলি আমি জানি না তো ছন্দ,
শেখার আমার আগ্রহ খুব লিখি ভালো মন্দ।
কলম সৈনিক হয়ে আমি সময় পেলেই লিখি,
যত রকম পদ্য আছে প্রতিক্ষণ’ই শিখি।
মেডেলগুলো দেখি যখন লেখার ইচ্ছা জাগে,
ঘরের মানুষ খুশি দেখি কেউ দেখি না রাগে!
ধীরে ধীরে গৃহবধূ হয়ে গেল কবি,
নানারকম পেপারেতে ছাপছে আমার ছবি!
অবাক হয়ে ভাবি আমি সত্যিই লিখতে পারি!
গুণীজনের প্রশংসাতে দেওয়াল হচ্ছে ভারী৷
আমার স্বপ্ন নীলাকাশে, ভাসছে জলে স্থলে,
আমার স্বপ্ন বেড়ায় উড়ে কলম সৈনিক দলে।
হৃদয় মাঝে স্বপ্নেরা সব মেলছে ডানা ধীরে,
কৃষ্ণপদ যাচ্ছি সবাই,অনেক স্বপ্ন ঘিরে।
নুতন একক কাব্যগ্রন্থ করবো তাকে বরণ,
আমি হ’লাম কলম সৈনিক ,স্বার্থক হবে নয়ন।
লিখতে থাকো কলম সৈনিক ভালো কিংবা মন্দ,
পরিবারের সাথে আছি রাখবো ধরে ছন্দ৷
গর্ব করে বলি আমি যোদ্ধা কলম সৈনিক,
নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে লিখি আমি দৈনিক৷