জনতার সমাবেশে মহামিলনের স্রোতে ভেসে যাওয়া এক উপলখন্ডে,
ভীষন মলিন বেশে
আমার সারাজীবনের সব কবিতারা।
ফিরে ও তাকায় না কেউ
ভিক্ষা দেওয়া দূর অস্ত।
আমার কবিতারা সব উঠে দাঁড়িয়ে খোল করতাল নিয়ে
চেঁচিয়ে গান বাঁধে।
ফিরে ও তাকায় না কেউ।
বরং বিরক্ত মেশানো একদলা থুতু দিয়ে যায় ।
ভিক্ষা ঝোলায়
কবিতার সুন্দরীরা হাসে খিলখিল।
প্রতিটি হাসি ফিরে এসে আমার পিঠে জোরে বসায় কিল।
ধারে কাছে না থাকলে ও কোথায় বসে ডাকে
বসন্তের কোকিল ।
আমার কবিতারা ছাতার আড়াল ছারা কোনোদিন যায় নি রোদ্দুরে।
চাঁদের টিপ কপালে এঁকে কতবার গেছে সমুদ্র স্নানে,
প্রেয়সীর হাত ধরে।
হেঁটেছে মোমবাতি মিছিলে।
কতবার কেঁদেছে গাজায় লোক হত্যায়।
ফিরেও তাকিয়ে দেখেনি।
আমলাশোলে কিভাবে পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বেঁচে আছে মানুষের দল।
আমার কবিতারা কখনোই বলেনি
‘চল ভুখা মিছিলে চল’।
মহামিলনের স্রোতে মিশে যেতে চায় আমার কবিতা সব।
আজ থেকে পোড়াবে তারা জানোয়ারের শব।