দ্রোণাচার্যের চক্রব্যুহে বন্দী রাজা যুধিষ্ঠির,
মিথ্যে বলায় সিদ্ধ হলেন যদিও তিনি ধর্মে স্থির!
অর্জুন সেই সংসপ্তকে ব্যস্ত নিজের প্রাণ বাঁচাতে,
আপৎকালিন প্রতিরক্ষার সূত্র তো নেই কারও হাতে।
ভীমের গদা টোল খেয়েছে তলোয়ারে নেইকো ধার,
অবসরে সুদর্শনও এই যুদ্ধে নেই এবার!
ওদিক থেকে আসছে ধেয়ে কর্ণ দ্রোণ দূর্যোধন,
অশ্বত্থমা কৃপাচার্য খল শকুনী দূঃশাষণ।
ধর্ম যখন সঙ্গে আছে পার হবো ঠিক দূঃসময়,
ভাঙ্গবে কে এই চক্রব্যূহ হারের শীতল স্রোত বয়!
কে জেতাবে এই ভাবনায় হাতে যখন বীর শূন্য,
যুধিষ্ঠিরের সামনে হাজির ভ্রাতুষ্পুত্র অভিমূন্য।
ঢোকার মন্ত্র জানেন তিনি বেড়ানোটাই সমস্যা,
চিন্তা কিসের আনবো টেনে ধর্মরাজের ভরসা!
অভিমন্যু ঢুকলো ঠিকই চক্রব্যুহের মাঝখানে,
বেড়নোটা আর হলো না সপ্তরথী মারলো প্রাণে।
ভরসা সবাই দিতে পারে রাখতে পারে কয়জনে,
হাড়ে হাড়ে পাচ্ছি তা টের আমি তুমি বতর্মানে!
ঢুকছি ঠিকই নানান আশায় মিথ্যে কথার প্রলোভনে,
ধর্মে আছি জিরাফেতেও শেষ হচ্ছি অভিমূন্যে।