Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » আবার ফিরবো আমি || Maya Chowdhury

আবার ফিরবো আমি || Maya Chowdhury

আবার ফিরবো আমি

মেঘদীপা ভালবেসে বিয়ে করেছিল সৌপর্ণ্যকে। একসাথে কাটানোর স্মৃতিটা ভুলতে পারছে না। সেদিন কবিতা উৎসবে যাওয়ার সময় সৌপর্ণ্যদের বাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে হয়েছিল। সদর দরজাটা ভেজানো ছিল, তাই ভিতরটা চোখে পড়ে নি। দোতলা ঘরের পাশে বটগাছটা বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দাদা শ্বশুরের বাড়ি। প্রায় ১০০ বছরের, আজ একবার ইচ্ছে করছিল সদর টা খুলে দেখতে সৌপর্ণ্য কি করছে। উদাসী হাওয়ার সঙ্গে তার মনটাও ভেসে গিয়েছিল দূরের ঐ আকাশেতে। কতদিন হয়ে গেল,। ভাবে যদি সৌপর্ণ্যের সাথে একবার যদি কথা বলতে পারতাম।অফিস যাওয়ার সময় বাসেতে সৌপর্ণর মতো মানুষজনকে দেখলে ও চমকে ওঠে, একটা সুপ্ত ভালোবাসা বোধ এখনো রয়েছে। তবে কেন যে আমরা ছাড়াছাড়ি হলাম, আজ মেঘদীপাকে খুব সুন্দর লাগছিল সাদা হ্যান্ডলুম শাড়ি তে। তাকিয়ে দেখে_ তোমায় খুব সুন্দর লাগছে বলার মত কেউ নেই। আজকাল কবিতার মধ্যেও মেঘদীপা নিজের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে। কিসের যন্ত্রণা কেন যন্ত্রনা এসব ভাবনা আর আসে না। জীবনে যুদ্ধ করতে এসেছ যুদ্ধ করে যাওএইভাবে জীবনটাকে সে বেছে নিয়েছে। সুপ্রিয় ভালোবাসা মেঘদীপাকে। অফিসে অনেকবার বোঝাতে চেয়েছে, কিন্তু মেঘদীপা অন্যের ক্ষতি করতে রাজি নয়। অনেক দিনের ইচ্ছে সৌপর্ণ্যকে কয়েকটা কবিতা পাঠাবে। সে যদি আগের মত একবার ফোন করে মেঘ দীপা তুমি কেমন আছো এই কথাটা বলে? তবে কেমন হবে। হৃদয়টা কিছুটা আনন্দে উচ্ছল হয়ে উঠলো। আবার ফিরে পেতে চায় সেই সাজানো সংসার টা কে। একবার সৌপর্ণা ফোন করলে সে আর না বলবে না। ক্লান্ত পাখি টার মত একটা আশ্রয় পাবে, যেখানে সৌপর্ণ্যের কোলে মাথা দিয়ে দুটো সুখের চোখের ছবি আঁকবে। সেদিন কি রাগটাই না হয়েছিল। রিমির সাথে ওরকম গায়ে পড়ে গল্প করা, বেড়াতে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি। প্রতিবাদের আগুন ডিভোর্স পর্যন্ত এগিয়ে ছিল। আজ আর কোথাও আগুন নেই। একেবারে মাটিতে পড়ে যাওয়া ছাইয়ের ধুলো। আচ্ছা একবার মাথা নত করে সৌপর্ণ্য এর পায়ের কাছে পড়ে থাকি, নিশ্চয়ই আগের মতই ভালোবাসবে। ওর বুকেতে আমাকে স্থান দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *