জগৎজুড়ে নানারকম মানুষ আছে ভরে,
কেউবা ধনী কেউবা গরিব আছে সমাজ ঘরে।
তারতম্য ভেদটা দেখি চিন্তাভাবনা নিয়ে,
বিত্তবান বিত্তের লোভে ভরে রাখে হিয়ে।
দিন আনে দিন খায় এমন মানুষও কত,
নাইবা থাকল টাকাকড়ি আত্মসম্মান যত।
রিক্সায় চড়ে আসছি বাড়ি নজর হঠাৎ পড়ে,
রিক্সাওয়ালার ছেঁড়া শার্ট পিছনে দুভাগ করে।
চোখটা উঠে ছলছলিয়ে মনটা কেমন করে,
বাড়ির গেটে থামতে আমি ছুটি সটান ঘরে।
আলনা থেকে তড়িঘড়ি তিনটে শার্ট নিলাম দিতে
হাতজোড় করে বলে, দিদি,পারবো নাগো নিতে।
যত বলি,বলছো তো দিদি,নিতে তুমি তবে বাধ্য,
মা-বোন পরে ছেঁড়া কাপড় , কেনার নেই গো সাধ্য।
যেদিন পারবো ওদের দিতে,আসবো দিদির কাছে
দিও সেদিন দিদি তুমি, রেখো আশিষ মাঝে।
অভিভূত হয়ে তাকে দ্বিগুণ ভাড়া দিলে,
কাচুমাচু মুখে সে যে হাত ফিরিয়ে নিলে।
ন্যায্য ভাড়া দাও না দিদি,বেশি নেবো কেন?
গরিব মুখ্যু রিক্সাওয়ালা! থৈ পাইনে যেন!