হেড অফিসের বড়বাবুর আজব ব্যামো ভারী,
সুযোগ পেলেই ঝটপটিয়ে লেখেন পদ্য সারি।
কাজের ফাঁকেও পরাণটা তাঁর উসখুস উসখুস করে,
গোটা চারেক লিখলে ছড়া চিত্তে শান্তি ভরে।
দিলদরিয়া মানুষ বলে ভালোবাসে সবে,
যাকেই দেখেন পাকড়াও করে শোনান কাব্য তবে।
কবিতার ভূত চাপলে পড়ে বড়বাবুর মাথায়,
সবকাজ ভুলে খসখসিয়ে কাব্য লিখেন পাতায়।
মস্তবড় কাব্য ব্যামো আছে তাঁহার বুকে,
মাথা চাড়া দিলেই রোগটা কলমটি নেন সুখে।
তখন যদি বাধা আসে উঠেন তিনি ক্ষেপে,
সেই ভয়ে কেউ কাছ ঘেঁষে না কথা বলে মেপে।
অগোছালো শব্দ সেদিন বাগড়া দিলে তাঁকে,
মাথার চুলটা খামচে ধরে বকেন যাকে তাকে।
শান্তমনের বড়বাবু অশান্তিতে ভরে,
সারা ঘরে পায়চারি তে বিড়বিড় শুধু করে।
অফিসসুদ্ধু এলো ছুটে পাগল হলো নাকি,
জাপ্টে ধরে আচ্ছা করে দিচ্ছে সবাই ঝাঁকি।
জোর ঝাঁকুনি খেতে এবার ফুটলো মুখে হাসি ,
বড়বাবু খান যে ভিরমি দেখে ফাইলের রাশি।