আজব তিলিসমাত। গজব কি বাত।
পাঁজি-পুঁথি ক্যালেন্ডার মেনে একটি দিনের আশা,
বৃন্দাবনের দেশে আমদানি হয় বিদেশ থেকে ভালোবাসা।
অধিক ব্যবহারে ক্লিশে হয় থাকে শুধুই নিরাশা।
মাস জুড়ে চলে তান্ডব, তুঙ্গে উঠে ভ্যালেন্টাইন্স ফিভার,
হরেক দিবসে হরেক কিসিমে হরেক রকম বাহার,
ফেলো কড়ি মাখো তেল, নয়তো প্রেমের আদ্যশ্রাদ্ধ অনেক দূর গড়ায়।
বিসমিল্লায় গলদ থাকলে তৈরী ব্রেকাপে যাওয়ার।
ভালোবাসার বাজারিকরণে বানিজ্যকরণ,
বেনিয়া বুদ্ধির কাছে হার মানে প্রেমের সমীকরণ,
ঘেঁটু–ধুতোরা নয়, মহার্ঘ লাল গোলাপে প্রেম নিবেদন।
এম.এন.সি.কো.র চকোলেটে গাঁটের কড়ি খসিয়ে বহু প্রেমিক ফতুর হন,
নাদুসনুদুস টেডি বিয়ার ছাড়া হয় না প্রেমিকার মনোরঞ্জন,
প্রেমের পিন্ডি চটকে বহু খানদানি প্রেমিক বিরহে দেবদাস হন।
যত ফাঁকি প্রক্রিয়া–প্রকরণ–উপকরণ।
ডিজিটাল যুগে মানবিক গুনাবলী, হৃদবৃত্তি, আবেগ অনুভূতি নিয়ে খেলে,
পলকা প্রেমে গ্যারান্টি নেই, প্রেমজ্বরে লেঙ্গি মারামারি চলে,
ব্রেকআপহীন আলুনি প্রেম ছাদনাতলায় বিয়ের পিঁড়িতে মেলে।
অতীত প্রেমের সুখস্মৃতিতে জীবনটা যখন পানসে পানসে লাগে,
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে আবারো কেলেন্ডারী প্রেমের পেছনে ভাগে।
বেলা গড়ালে চুলে পাক টেকো মাথা লালচে গোঁফের প্রেমিককে মেয়েরা ‘কাকু’ বলে ডাকে,
বিবাগী প্রেমিক চোয়াল ভাঙ্গা গালে ইচারাঙ্গা চাপদাড়ি নিয়ে আধা গেরস্ত, আধা সন্ন্যাসী হয়ে থাকে।
জালিম মেচেতা চোখের কালি বলিরেখা নিয়ে প্রবীন প্রেমিকা প্রেমের সমাধি গড়ে।
একবুক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ‘বয়স্ক বৃত্তিসফল’ গম্ভীর টেকো ব্যক্তির গলায় ঝুলে পড়ে।
ভ্যালেন্টাইনি ভালোবাসার সাতকাহনী এমন করে ভাঙ্গে–গড়ে।