নিঝুম রাতের জোনাকিরা বলে আঁধার কোথায় আর,
কতো শতো আলো জ্বেলেছি আমরা ঘুচাবো অন্ধকার।
পেচক যে গাছে বসেছিলো রোষে শিকার ধরবে তার,
জোনাকিকে বলে নেভাও ও আলো আমি চাই শুধু আঁধার।
গা ছমছম পেচকের ডাকে মনে লাগে বড়ো ভয়,
ইঁদুর ছানারা বড়ো দিশেহারা ভয়ে খোঁজে মা কে তার।
শিকারী পেঁচার চোখ জ্বলে ওঠে শিকার মেলেনি তার,
উঁকি মারে যত ইঁদুর ছানারা খাদ্য হবে পেঁচার।
গাছের ফাঁকেতে চাঁদ হেসে ওঠে রাগ হয়ে যায় পেঁচার
অন্ধকারেই ভালো দেখে তাই সে চায় শুধু আঁধার।
যারাই শিকারী শিকার ধরাই নেশা ও পেশা যাহার
সমাজকে তারা আঁধারেই রাখে আলো কে ভয় যে তার।
এ জগতে যারা বঞ্চিত তারা নিজেরাই হয় আহার,
শাসক শোষক পেঁচারা যে চায় শোষণের অধিকার।
অসহায় সব শোষিত ইঁদুর বাঁচার অধিকার চায়,
ইঁদুরের মতো জনগণ ও তাই পালিয়ে বাঁচতে চায়।
জীবনের সব গল্প ফুরায় শোষক আর শোষিতের,
স্বল্প মূল্যে জীবন বিকায় বঞ্চিত হতভাগাদের।
লুন্ঠন আর চুরি জুয়াচুরি অবাধে চলে আবার,
খাবার পায় না বাঁচতে পারে না হারায় সব অধিকার।
ক্ষুব্ধ জীবন ব্যথিত মনন উপায় নেইকো তার,
গাছে ঝুলে পড়ে ঝাঁপ দিয়ে মরে ছেঁড়ে যে পাওনাদার।
বাঁচতে দেয় না আলোও জ্বলে না তাই করে হাহাকার,
কে আছো জওয়ান হও আগুয়ান ঘুচাও সব আঁধার।।