প্রকৃতি কী নষ্ট সবুজের ল্যাণ্ডস্কেপ!
তোমার ডালপালা ভেঙ্গে
পাতাগুলো ছিঁড়ে, কয়েক শত টুকরোয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে,
চণ্ডালের মতো জড় থেকে টেনে হিঁচড়ে উপড়ে,
বন্ধ্যা জমীন তৈরিতে ব্যস্ত
অরণ্য মাফিয়া আর প্রোমোটারের দৌরাত্ম্যে বসুন্ধরা বিপদাপন্ন…
ন্যাড়া গাছেরও শান্তি নেই
আগুন লাগাও!
জ্বলতে হবে তাকে, আমার খাদ্য চাই।
অক্সিজেন কোথা পাবে!
বিষিয়ে যাবে ফুসফুস,
গোপন ক্ষয়রোগ ভাঙ্গন ধরাবে,
অতো চেঁচিয়ো না তো!
জানো শুধু আঁকতে উদাস প্রকৃতির স্থিরচিত্র
কিন্তু কতোটা জানো প্রকৃতির রহস্য?
ক্লান্ত সবুজের ঢল ঝুলন্ত বিজ্ঞাপনে
……নতজানু একা….
তামাটে রোদ্দুরে ওলোটপালট হাওয়া
প্রিয় সুখগুলো এঁকে দেয় চোখের পাতায়…
তা দিক;
দুঃসহ ভাঙ্গন রোধ করবে
এমন সাধ্য আছে তোমার!
শিকড়ে বাকরে জড়িয়ে লাভ কী?
ওদের উৎখাতে মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিং ওঠবে—
মেহগনি কাঠের টেবিলে গরম চায়ের আসর বসবে
মেহগনির কাটা দাগ থেকে আঠার মতো কাঁচা রক্ত ঝরছে
লুটেপুটে করছি ক্ষয়, হারিয়েছি সবুজের নিমন্ত্রণ
সমৃদ্ধ নগর গড়তে ক্রমাগত অগস্ত্য যাত্রায়
সব ছারখার করে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা
গোত্রহীন সভ্যতার অপেক্ষা….
চতুর্দশী অন্ধকারে মুছে যাবে দিনের আলো
নিঃস্ব দীর্ঘশ্বাস স্তব্ধ নিষ্ঠুরতার অপরাধে
অবিরাম কষ্ট কেন দাও? কেন এই খাণ্ডবদাহন?
কিন্তু তারপর?
গ্লোবাল ওয়ার্মিং ব্ল্যাকহোলে নির্ঘাত মৃত্যু সভ্যতার,
সেদিন ‘আমার দুঃখের কাছে তোমাদের নত হতে হবে!’