অনামিকায় পরেছি নিম্নবিত্তের অঙ্গুরী
বুকে ঘুমিয়ে থাকে অদ্ভুত এক ক্রুদ্ধ যন্ত্রমানব
অজান্তেই অনন্ত কালের অভ্যাসের ফলে
এখনো নিশ্চিন্তে কাকের বাসায় কোকিলের ডিম।
হতদরিদ্র ক্ষয়িষ্ণু পাহাড়ে ক্লান্ত দুটি চোখ মেলি
ভ্রুকুটি ছড়িয়ে চেয়ে থাকে নীলাকাশের মেঘপুঞ্জ
অবশেষে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে, ক্রমশ –
শিশিরে মিশে ধুয়ে যায় অনন্ত কালের যৌবন।
দেওয়ালে কারা যেন লেপ্টে দেয় অপ্রেমের কদর্য চিত্র
বিজ্ঞাপনে বিপন্ন সভ্যতার রঙিন প্রহসন।
সঞ্জীবনী সুধা ভেবে রাতগুলো কারণসুধায় আকন্ঠ নিমজ্জিত
শরীর যেন আর শরীর নয়,বারুদে ঠাসা বিস্ফোরক।
খুলে দিয়েছি যত লজ্জা আর সংযমের আবরণ
বিবস্ত্র ইতিহাস লেখে কলঙ্কের পাতায়,পাতায়
উপেক্ষিত হা -অন্ন, সময়ের কণ্ঠ রোধ করে-
নষ্ট দুপুর নষ্ট করে জীবন, অবক্ষয়ের ডানায়,ডানায়।
কালো হাত কাটছে বৃক্ষ,উন্নয়নের মন্ত্রচ্চারণে
ছড়িয়ে দিচ্ছে তার রক্তাক্ত নীরব কঙ্কাল
চড়ছে, ক্রমেই চড়ছে অসংযমের লোভের পারদ
বারোমাস নিহতের ,উপছে পড়ছে লোক ঠকানোর আড়ত।