স্মৃতির ধূসর ধূলো জমা ফাইলের ভাঁজে ভাঁজে অভিমানী শব্দের অস্ফুট বিরহী বিলাবল!
উন্মনা মন অজান্তেই দহনের তমসুকে হাত বুলায়,
কি যেন অস্থির আকুতি মাথা কুটে নিবিড় বেদনার ধারাপাতে স্নাত হয়- আর,তক্ষুনি স্মৃতি ঘরের হুড়কোটা খুলে যায় আচমকাই,
এতোগুলো দিন,মাস বছরের বিচ্ছেদের সেতু পেরিয়ে আজও বুকের সারাটা চত্বর জুড়ে তুমি- শুধুই তুমি,
তোমার সেই সুঠাম পৌরুষদীপ্ত চেহারা,সেই পাগল করে দেওয়া চাহনি,মদির হাসি!
যা দেখে আমার দুরন্ত একুশের বুকে উঠেছিল ঝড়!
পতঙ্গের মত মনটা গোপন অভিলাষে স্বপ্ন বুনছিল প্রথম প্রণয়ের শিহরণ অনুভবে।
কথারা জমছিল সঙ্গোপনে হৃদ মাঝারে,
আসা- যাওয়ার পথে আড়ালে একঝলক দেখা,
ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির একচিলতে,
অসহ্য সুখের কাঁপন টের পেতাম ,ভীষন ভীষন ইচ্ছে হতো তোমাকে মনের কথা বলতে,
আচ্ছা,তোমার কি তেমনি মনে হতো?
যে কথা বলবো বলবো ভেবে বারবার একরাশ লজ্জায় পা’ দুটো এগোতে গিয়েও পিছে হটেছে দুস্তর সঙ্কোচে,
হয়তো মনে ভেবেছি তুমিই বলবে,কিন্ত কৈ বললে নাতো!
তবে যে আমাকে দেখলেই তোমার চোখের তারা আলোকিত হয়ে উঠতো! সেটা কি ভালোলাগা নয়?
কতদিন দেখেছি,আমাকে একপলক দেখার জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে শিমুল গাছটার আড়ে,
খুশিতে বুকের ভেতর দ্রিমি দ্রিমি মাদলের তান! সেকি সুখ!
আমার বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যেতো, অভিমানে চোখে বাদল,
তারপর, সময়ের স্রোতে কতনা ঢেউ,
বিষন্নতার মেঘলা ছায়া মনের কোনে,
তবুও দুরন্ত আশা, হয়তো তুমি আসবে,হাতটি ধরে বলবে ,’ ভালোবাসি তোমায়,
কৈ,আসলে নাতো!
আমি কিন্ত আজও অপেক্ষার দোরে,
কতবার বলতে চেয়েছি সামনে পেলেই,
কিন্ত নাহ, বলিনি কখনও, ভালোবাসার কথা!
আমি যতবার ভালোবাসার কথা বলতে চেয়েছি,শব্দেরা হরতালে নেমেছে,কথারা জমে পাহাড় সম,
তবু কিছুতেই বলতে পারিনি ,
দুজনের কেউই, যেন আমাদের ভালোলাগা ভালোবাসার মাঝে অগস্তের নিশ্চল পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো অব্যক্ত শব্দেরা–