অবৈধতার পরিণতি
তপ্ত বৈশাখে হাঁটুজলে নেমে স্নান কে যদি কাকস্নান বলা হয়, তাহলে যে সম্পর্ক সাময়িক হলেও শারীরিক ও মানসিক চাহিদা গুলো কে পূরণ করে তাকে কি বলা হয়?? এমনই এক প্রশ্নের উত্তর না জেনে অমিত পড়লো স্যারের বউ এর প্রেমে l সুপুরুষ অমিত কে দেখে পূজা এড়িয়ে যেতে পারে নি, মেনে নিলো অমিতের প্রস্তাব l অমিত পূজার প্রেম টা বেশ জমে উঠলো l নিজেদের অজান্তেই কবে যে প্রেম ভালোবাসায় পরিণতি পেলো জানতেই পারলো না তারা l পরস্পরের সুখ দুঃখের কথা, হাসি মজা মুহূর্তগুলো যেন অন্য এক জগৎ সৃষ্টি করেছিল সমাজের আড়ালে l এক বছর পাড় করলো তাদের সম্পর্ক… এখন পূজা আর দুটানা সম্পর্কে থাকতে চায় না, অমিত কে বিয়ে করবে বলে প্রস্তাব রাখে l কিন্তু অমিত সমাজের কথা ভেবে রাজি হয় নি l তাদের ভালোবাসার জগতে অশান্তির ছায়া পদার্পন করলো l
শুরু হলো দূরত্ব বজায়ের টানাপোড়েন, যা পূজা মেনে নিতে পারে নি l অনেক সহ্যের পর পূজা সিদ্ধান্ত নিলো নিজেকে শেষ করে দেওয়ার, আর অভাগী তেমন টাই করলো l এই মিথ্যে সম্পর্কের জেরে পূজা নিজেকে শেষ করলো আর অনাথ করে দিলো ঐ তিন বছরের মেয়েটাকে l সাময়িক কষ্ট পেলেও অমিত আবার ফিরে এলো তার নিজের স্বাভাবিক জগতে l
এই হলো অবৈধ সম্পর্কের পরিণতি l তাও সমাজে আমরা ঘরবন্দি থাকার পর বারান্দায় মুক্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার মত বাহ্যিক এক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েই থাকি l এই সম্পর্কের শেষ সীমা আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করি, এর জন্য দরকার নিজের মন ও বুদ্ধির ওপর নিয়ন্ত্রণ l যাতে কেউ যেন আর একটা পূজা তে পরিণত না হয় ll