অন্তত একবার কাছে এসো ,অনন্ত একাকিত্বে
সাধ মিটিয়ে পূরণ করি তোমায় ঘিরে অতৃপ্ত আকাঙ্খা
এতদিন অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেছি দীর্ঘশ্বাসে
অবলোকনে বহুবার গড়েছি আর ভেঙেছি কল্পনা ও স্বপ্ন।
তৃপ্ত নই আমার তোমার দেহে অবাধ বিচরনে
চতুর্দিকের কেবলি ফোনাফনি ,কানাকানি ,অনুসন্ধান
মানস চক্ষের যা প্রত্যক্ষ,তার চেয়েও তীব্র অবিশ্বাস ভঞ্জনে –
শেষবারের মতো তোমাকে চাই বিশ্বাসটুকু ফিরে পেতে হাহাকার নিরাসনে ।
বহুবার দেখেছি আর ভেবেছি তোমার ওই নীলকণ্ঠে হয়তো –
তেজদীপ্ত, ত্যাগের কিংবা বহুবঞ্চনার আত্মত্যাগের ফাঁসির দড়ির দাগ
বহুবার ভেবেছি তুমি প্রতিবাদী – মিছিলে,মিছিলে নারী স্বাধীনতায় বলি প্রদত্ত প্রতিনিধি
ভেবেছি,শুধু ভেবেছি গোধূলি বেলার নির্ভরতার সত্যের প্রতিশ্রুতি।
প্রেম উজানো স্রোতে ভাসতে ভাসতে
সঙ্গম বহতার শীৎকারে, দৈহিক উষ্ণতায় পুড়তে,পুড়তে
আজ সহসাই প্রথম দৃষ্টিদ্বারে প্রতীয়মান হল –
গলায় তোমার বহুদিনের পরাধীন পোষ্যের বক্লেসের দাগ।
দৃষ্টিগোচর নয় – সহস্র দুঃখ ছড়িয়ে আছে আমার চলার পথে
ফেরার পথে কুড়িয়ে,কুড়িয়ে আজ হৃদয়ে জড়ো করি
সবই কি বলার মতো তো হয় ?তাই এতদিনেও অপ্রকাশিত
আমার অবেলার কলমে ঝড়ে পরে … অসংখ্য বিহ্বলতা।