অনুশোচনা
মালার ফোনটা রিং হচ্ছে। একটা আননোন নম্বর। হ্যালো বলতেই ওপার থেকে বলল,দীপের গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়েছে। আপনাকে ও ছেলেকে দেখতে চাইছে।
ফোনটা নামিয়ে মালা কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। যাওয়া উচিত কিনা? গত কয়েকবছর ধরে দীপের সহপাঠী,শিল্পার অহেতুক ওদের জীবনে প্রবেশ মালা মেনে নিতে পারেনি। এই নিয়ে ওদের মধ্যে অনেক অশান্তি হয়েছে। দীপ বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করছিলেন। তাতেই বিরক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। সেপারেশনে আছে ওরা। ছেলে, বান্টি, মায়ের সঙ্গে আছে। সামনের মাসেই ডিভোর্স হয়ে যাবে বলে উকিল জানিয়েছেন।
আবার ফোন। দীপের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উকিলকে ফোন করতেই যাবে, এমনসময় দরজায় কলিং বেলের আওয়াজ। খুলতেই দেখে দীপের উকিল। হাতে ব্রিফকেস। বললেন, আজ বলা না হলে বড্ড দেরি হয়ে যাবে। ম্যাডাম দীপবাবু সব সম্পত্তি আপনার নামে করে দিয়েছেন গত সপ্তাহেই। বলে সব কাগজপত্র তুলে দিলেন মালার হাতে।
মালা স্তব্ধ হয়ে গেল। এতকিছু বলার পরও দীপ…..।
ছুটে গেলেন নার্সিংহোমে। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান করবেন। নার্সিংহোমে ঢুকতেই দেখে দীপের ভাই। মুখ থমথমে। ছুটে গেলেন আইসিইউতে। ততক্ষণে সব শেষ। আধাঘন্টা আগেই দীপ না ফেরার দেশে চলে গেছেন। অনুশোচনায় স্তব্ধ মালা।