ঝড়, ধুলো শৈশবের দুপুর
মার শুষ্ক আঁচলে ঢাকা
বৃষ্টির গন্ধ, অল্পেতে আত্মতৃপ্তির ভাবনা গুলো,
আজও চোখের ‘পর ভেসে ওঠে,
অবাক চোখে বাবুই পাখির শিল্পের
কারুকাজ দেখতে দেখতেই ত বেড়ে ওঠা ;
মনে পড়ে এক জোড়া শালিক
বারান্দার এককোণে রোদ পোহাত ,
সপ্তাহন্তে এক ভিখিরিনী বাড়িতে আসত
দেখতাম মা তার আঁচলে পরম যত্নে
একমুঠো চাল তুলে দিতেন, ভিখারিনীও তার
ঝোলা থেকে এক চিমটি চাল ফিরিয়ে দিত
এক আত্মতৃপ্তি ফুটে উঠত দুজনের চোখে মুখে,
তারপর অনেক সময় পার হয়ে গেছে
ভিখারিনী আর আসে না
অন্তহীন পথে মা পাড়ি দিয়েছেন
তবুও যেন বুকের ভেতর এক অনন্ত অপেক্ষা
এক আত্মজ অনুভূতি
শ্যেন দৃষ্টির ছায়াপথে
আমৃত্যু নীরবে পালিত হয়।