অনুভবে বইমেলা
দিদি ,” সরস্বতী পূজার ছুটি নেব ভাবছিলাম” , তা না নিয়ে পরদিন দিও।
কেন রে ??
গোটাসিদ্ধ বানাবি? দেখছিস তো আমার পা মচকে গেছে।ছুটি নিস না।
কি যে বলো দিদি ??
“গরিবদের ঘরে গোটাসিদ্ধ”।
গরিবের কি আছে রে?কটা তো সবজি সিদ্ধ।
তুমি তো পা মচকে বসে আছো,না হলে তোমাকেও নিয়ে যেতাম।
হ্যাঁ গো দিদি এ ও “এক পার্বণ”,আমার ছেলে বলেছে।
কি পার্বণ গো শিবুর মা??
ঐ যে বাঙালির বারো মাসে
তের পার্বণের মতো এটাও একটা পার্বণ দিদি।।
“আমি ভাবছি কি হতে পারে”–
ঐ যে গো -“বইমেলা”।
তুই গিয়ে কি করবি রে?
না লক্ষীর পাঁচালি ইঁদুরে কেটে দিয়েছে তাই কিনব।
আমি বলি দশ বাড়ি কামাই করে পাঁচালি কিনতে বইমেলা–য়।
আমি বলি বই কিনতে আমার ভালো লাগত জানিস।এখন সারা বাড়িতে এত বই,আর্ধেক লাইব্রেরীতে দিয়ে দিয়েছি।তুইতো আমার পুরনো বাড়ি যাস নি ,,শুধু বই।কলেজ স্টিট থেকে ছেলের গাদা গাদা ব ই, বরের বই।এত ব ই আর আমার জন্য নতুন বই তোর দাদা আর কিনে দেবে না।
তোর দাদা বলে যা আছে তা শেষ করো।তাছাড়া সপ্তাহে দুদিন লাইব্রেরী যায়।ও বৌদি তুমি তো তোমার বন্ধু কবিতারবই বার করেছে,সেটা তো কিনলে??
বৌদি তাহলে ছুটি নিলাম।
৩০তারিখ বইমেলা ঘুরে ৩১তারিখ মাসি কাজ করতে এল বড় ব্যাগ নিয়ে।ব্যাগ থেকে বার করল কত ডিটেকটিভ বই।
মাসির ছেলে নাইনে পড়ে,সারা বছর টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে এত বই ,অভিধান কিনেছে।
আমার জন্য গোপাল ভাঁড় কিনে এনেছে।আমি টাকাটা দিয়ে বললাম ,মাসি আমার গোপাল ভাঁড় পুরানোটা নিয়ে যাও।নতুনটা রাখলাম।বই মেলা সবার,গরিব ও বড়লোকের ভেদাভেদ নেয়,বই পড়ুয়াদের এক পার্বণ বটে।