চিলতে শীতে এক পশলা বৃষ্টি, রংধনুর রক্তক্ষরণ ।
বোহেমিয়ান পাখির সংসার খোঁজা আর
সদ্য যুবতীর উদ্ভিন্ন পয়োধর, নেকড়ে হায়েনার
চোখ টাটানো ।
সবটাই তো ‘ লে লে বাবু ছ আনা ‘।
সামাজিক স্ট্যাটাস যাক চুলোয়,
মদনদেব যে সক্রিয় !
ছল আর বল, রাজনীতির উঠোন ও বারান্দা।
শুরু হয় চোর পুলিশ খেলা।
অন্তিম ফলাফল
‘ তুমি আমার, আমি তোমার ‘।
ধর্ষিতার ঘরে তেল ফুরায়, সন্ধ্যে থেকে পরেরদিন সকাল সে ফের ধর্ষিতা হয় প্রকৃতির আর সমাজের।
বিচারের রানি চোখে কালো কাপড় বেঁধে যুগের গান্ধারী সেজে হাত ধুয়ে ফেলে।
প্রতিবাদী কন্ঠ থেমে যায় কিছুটা ভয়ে বাকি পুরোটা নিপীড়নে।
সামাজিক ও ধর্ম তত্ত্বের দোহাই দিয়ে বহু ধর্ষণ আইনসিদ্ধ,
বাকিটা ‘ খেলা হচ্ছে বস ‘।
শেষ হলে রেজাল্ট বলব।
সব দেখেও নেতা নেত্রীর স্টেটমেন্ট,
ও তো অন্য কেস ।
সবাই কিন্তু আফিংখোর নয় !
মেকি বুদ্ধিজীবী, যেমন সুপর্না, চৌশিক, অবোধ,
কেউ নেই,
এখানে তো রোজগার নেই স্যার ।
তাই আঁচলের তলায় বা আলমারির ফাঁকে থেকে প্রতিবাদ শোনে কিন্তু প্রতিবাদ করে না
এরা #ক্লিব।
এদের সব গেছে চূণাভাটিতে, পড়ে আছে পোকাধরা পালক।
উদ্দেশ্য সামান্য, যদি খিঁচতে পারি কিছু ?
বাঘের থেকে ফেউয়ের ডাক বেশি ।
ভয় দেখানো। স্বার্থসিদ্ধির কৌশল।
মোমবাতি একদিনের, গলে গেলে সবাই ভুলে যায়,
মানসিক যন্ত্রণা জীবনের ।
রাজনীতির টিআরপি নিতে ভিড় বাড়ে,
মুখ আবঝা করে খবর আসে ।
ওখানেই ইতি, অন্যকিছু ধর্ষিতার পরিচয় বহন করে না।
বরং সমাজ বলে — সস্তার মাল চুলকানি হয়েছিল ।
উলঙ্গ সমাজের বুকে ধর্ষতিরা রেখে যায় বিবেকের দগদগে ক্ষত।
ভাবি ,
যদি আমি থাকতাম ………. হয় বিদ্রোহী না হলে প্রতিবাদী , সবশেষে পড়ে থাকে সুবিধাবাদী,
ব্যতিক্রম থাকেই …..অনুবীক্ষণ যন্ত্র চাই আমার।