Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » অতিদর্পে হতা লঙ্কা || Samarpita Raha

অতিদর্পে হতা লঙ্কা || Samarpita Raha

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিক্রমাদিত্য ফিরে গেলেন সেই গাছের কাছে।গাছ থেকে শব নামিয়ে কাঁধে ফেলে যথারীতি তিনি নীরবে শ্মশানের দিকে হাঁটতে লাগলেন।তখন শবস্হিত বেতাল বলল,”রাজন, তোমার অবস্হা দেখে আমার বড্ড করুণা হচ্ছে।জীবন পথে অনেক সময় অনেকেই অজান্তেই ভুল করে বসে। জেনে রেখো আত্ম অহংকারে মগ্ন থাকা কখনোই উচিৎ নয়।তোমার তো জানা আছে “অতিদর্পে হতা লঙ্কা”
আজ আত্ম অহংকারি এক মহিলার গল্প শুনলে রাজন তোমার কাছে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।তেমার পথ চলার পরিশ্রম ,মনখারাপ ও লাঘব হবে বলে বেতাল কাহিনী শুরু করে দেয়।
এক পরমা সুন্দরী মেয়ে আন্তর্জাতিক বিমানে উঠেছে।
সিট নম্বর খুঁজে প্লেনে বসে বেল্ট বাঁধতে বাঁধতে বলে ইস্,ছি়ঃ।
পাশের বয়স্ক মানুষটি বলে সাহায্য করব।তাতে আরো ক্ষেপে যায়।বেল্ট খুলে দাঁড়িয়ে পড়ে।এয়ার হোস্টেসকে বলে আমি এখানে বসতে পারব না।
ওরা বলে ম‍্যাডাম আপনার সিটে আপনাকেই বসতে হবে।
না আমাকে এক্ষুণি ব‍্যবস্হা করে দিন।
“আপনার কি অসুবিধা”??
বুড়ো ভদ্রলোক বলেন উনি কি বেল্ট আটকাতে পারছেন না।তাহলে সাহায্য করুন।
এবার আরও রেগে যায় ভদ্রমহিলা।বিমানসেবিকাকে বলে আমার গা ঘিনঘিন করছে।
ঠিক আছে ওষুধ দিচ্ছি।
তাহলে সমস্যাটা কি?কিছুই বলছেন না।মহিলা বলে বেশি টাকা দেব,শীঘ্রই ব‍্যবস্হা করুন।
বুড়ো ভদ্রলোক বলেন বিমান সেবিকাকে উনি জানলার ধারে বসতে চাইলে বসতে পারেন। আমি ছেড়ে দিচ্ছি।
মহিলা এতে আরো রেগে যান।সেবিকারা বিমান চালককে ডাকেন।তখন বলেন আমি এত লম্বা ভ্রমণ এই গরিব ,ধুতি পরা লোকের পাশে যেতে পারব না।আমার ওনার কাছে বসতেই গা ঘিনঘিন করছে।
পাইলট বলে ও আচ্ছা এতক্ষণ বলেন নি কেন?পাইলট চেঁচিয়ে সবাই কে বলে আমার কাছে সবাই সমান,হয়তো আপনাদের মধ্যে কাউকে অনুনয় করলে আপনারা সিট হয়তো পরিবর্তন করবেন।কিন্তু আমি ভাবছি যাত্রী বিমানে ব‍্যবস্হা করতে পারি কিনা।
মহিলা বলেন হ‍্যাঁ হ‍্যাঁ প্লিজ দেখুন।ব‍্যবস্হা শেষে দুজন বিমান সেবিকা হাত জোর করে বলেন আসুন,আপনার জন্য সুব‍্যবস্হা করা হয়েছে।মহিলা গদগদ ভাবে উঠে আসছিলেন।না না আপনি বসুন,উনি আসবেন।উনি তো এই প্লেনে সম্মানিত ব‍্যক্তি।তখন মহিলা লজ্জায় অপমানিত হয়ে বসে পড়ে।

কাহিনীর এইটুকু শুনিয়ে বেতাল বলল মহিলা তো অনুনয় করেছে,চিৎকার করে প্রতিবাদ করেছে,তাহলে ধুতি পরিহিত ভদ্রলোককে অন্যত্র সড়িয়ে কি ভুল করলেন বিমান চালক?এই প্রশ্নের উত্তর জানা সত্বেও যদি না দাও তবে তোমার মাথা ফেটে চৌচির হয়ে যাবে।
রাজা বেতালের প্রশ্নের উত্তরে বলেন একদম ঠিক করেছেন।সবাই প্লেনের টিকিট কাটা যাত্রী।ভদ্রলোককে অপমান করার অধিকার কে দিয়েছে?বরঞ্চ প্লেনে ওঠার পর থেকে ভদ্রলোক ওই মহিলার যাতে উপকার হয় তা লক্ষ্য রেখেছেন।সঠিক বলেছেন।

বেতাল বলে মহারাজ আপনি মুখ খুলেছেন,বাই বাই করে মহারাজকে।আর শব নিয়ে ফিরে যায় সেই গাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress