আনুমানিক তীব্রতা রিখটার স্কেলে বন্দি আসামি,
কাঁপুনিতে আন্দোলনে টলে না শ্রীচরণ,
কার কাছে পাব বলভরসা সহায় সম্বল
ভাবি না এখন অনুক্ষণ ।
চিড় খাওয়া মাটি পোড় খাওয়া লোক
হুবহু দেখি অহরহ এপিঠ-ওপিঠে,
সাময়িক হাহুতাশ এলোমেলো হাওয়ায়
উড়িয়েছি নিখরচায় দুহাতে,
পাথুরে জমিতে চাষবাস সেরে সম্পন্ন মন
তখতে বসে ডগমগ, শরীরটা দোলে
ষোলো আনা তৃপ্তিতে ।
নিসর্গ-রোষ ঝুঁটি নাড়িয়ে অতিথি হলো
বারো মাসে তেরো পার্বণের মতন ,
তাতে বড় জোর সেঁকা নোংরাগুলো
সবলে নেয় কেড়ে মসনদ,
প্রবল প্রতাপে প্রতাপাদিত্য সম্মুখ সমরে
আবার বিছোয় অসহ্য নাগপাশ
তন্তুজালে, স্নায়ুকেন্দ্রে সুচারু তৈরী হয়েছে
বর্ম-বুলেটপ্রুফ,
হাজার কম্পনে সত্যি মানুষটা অ-মানুষিক–
দু চোখের পাতাও কাঁপে না এখন।