বড় বড় ঘাসের ভেতর অল্প শাড়ি তুলে তুমি
পার হচ্ছ এক বড় আর খুব প্রিয় অভিজ্ঞতা
এরকম দৃশ্যে আমি যতবার লুকিয়ে লুকিয়ে
কাছে গেছি, দৃশ্যটিকে নষ্ট করে ফেলি, হে বাতাস
আমি দেবদূত হয়ে যদি না জানিয়ে অতর্কিতে
দেখা দিই, আর যদি চমকিয়ে ওঠো তুমি, তবে
ধরে নেব আমি পারি, সব পারি, এখনও তোমাকে
এক স্তব্ধ অপরিকল্পিত দেশে চমকাতে পারি।
চমকাতে কে বলেছে? অনেক অনেক সিঁড়ি দিয়ে
তুমি উঠে যাচ্ছ দূরে দূরে আর ভাবছ চুড়োয়
একটা জানলা, নীল কাচে ঢাকা যার মধ্যে দিয়ে
তাকাবে দিগন্তে, ভাঙা সেতু, বিল, একটি নিঃসঙ্গ
মাঝি, আরও নিঃসঙ্গ একটি ভেলা, দেশলাই জ্বলল,
চোখ নিয়ে যাবে যেই কাচের ভেতর, সে মুহূর্তে
দেখা দিলাম সেখানে, তুমি আর কী করবে বলো
পুরো দোষ যে আমার, সে তো স্পষ্ট, তবে যে পাখিটি
ঘুলঘুলি ছেড়ে ঝাপটিয়ে উড়ে চলেছে তখন
দেখি সে কোথায় গিয়ে বসে, আজ এতদিন পরে
আর একবার দেখা দিতে ইচ্ছা হয়, এর মধ্যে
পাখিটি নিশ্চয় গিয়ে বসে আছে সেই ডালটিতে
যেটি দোলনার মতো নেমে গেছে বিলের কিনারে
কিশোরেরা দোল খেয়ে আরও নামিয়ে এনেছে
আমি ভুল করে প্রায় একেবারে কাছে চলে গিয়ে
দেখি তুমি উলটো দিকে মুখ করে ঠিক বিল নয়,
বিলের ওপরে ভেসে থাকা নৌকোটিকে লক্ষ করছ
পেছনের থেকে ঘাড়ে টোকা মেরে চমকিয়ে দেব?
না তারও আগে হাততালি দিয়ে মগ্ন পাখিটিকে
আকাশে তাড়াব, সে সময় তুমি মুখ ফেরাতেই
আমি খুব তাড়াতাড়ি একটি শাবকরূপে দেখা দিই
আর হাততালি যেটা পাখি ওড়াবার জন্য দিয়ে
ফেলেছি তখন, সেটা শোনা যেতে থাকে ফিরে ফিরে।