ধিঙ্গী মেয়ে গতর ফুলিয়ে সস্তার মেকআপ লেপে
রোজ তিন মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
অকাতরে নিজেকে বিলোয় নানান পুরুষের বাহুডোরে, সে হলো স্বৈরিণী l
আমাদের সমাজে স্বৈরিণীর কোনোদিন লিঙ্গান্তর নেই,
শিক্ষিত, উন্নত প্রযুক্তির আড়ালে নারী, পুরুষ, কিন্নরী সকল লিঙ্গ স্বৈরিণী রূপে সমাজে গ্রহণযোগ্য l
আহ্লাদি অন্ধকারে নির্লজ্জের চাদরে নিজেকে মুড়ে
সস্তার পণ্য বানায় l
যে সকল পুরুষ সুযোগের সদ্ব্যাবহার করে,
তারা হলো সমাজের ভবিষ্যত,
গম্বুজ হয়ে দন্ডায়মান l
স্বৈরিণীদের চারিত্রিক উপাধি দেওয়ার যোগ্যতা আমাদের নেই,
ভাগ্যের চক্রে স্বৈরিণী বিদায় এই কালে অসম্ভব,
কিন্তু এই পথ হতে নিরাপত্তা ও মুক্তি প্রদান আমাদের সামর্থ্যের কি বাইরে?
রঙিন মিথ্যের আড়ালে হৃদয়ে পুরুষের হিংস্রতার
ক্ষত বহন করে নিয়ত,
পরিবর্তে সমাজ প্রয়োগ করে সুতীক্ষ্ণ বাক্যবাণ l
এ নিঃসীম নরক সংসারে গহীন অন্ধকারে
সাময়িক মধুক্ষণ প্রদানকারী,
নিজের বিষন্নতার সাগরে নিমগ্ন থাকে l
নষ্টামির কলঙ্ক তিলক রূপে ধারণ করে আজীবন l
নির্ঘুম নক্ষত্র সাক্ষী থাকে অপবিত্র অনুষঙ্গের l
মনে রেখো, মাতৃ জঠর থেকে স্বৈরিণী হয়ে জন্মায় নি সে,
প্রতারকের প্রশ্রয়ে, ভুভুক্ষ পেট, ভাগ্যের লিখনে
সে সমাজ হতে পরিত্যাজ্য l
স্বৈরিণীর অন্তহীন যাত্রার বিদায় ঘটুক
অসভ্যতার শৃঙ্খল হতে ll