স্বামীর হাতে পাকড়াও প্রেমিক
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে প্রেম নিবেদন! স্বামীর হাতে পাকড়াও প্রেমিক, প্রেমে পড়লে মানুষ কী না করতে পারে! প্রেমিকার সঙ্গে ‘চোরি-চোরি, চুপকে-চুপকে’ পরকীয়া চালানোর জন্য দীর্ঘ সুড়ঙ্গও খুঁড়ে এমনিই এক তাজ্জব ঘটনার সাক্ষী থাকল ঢুলিপাড়া।
হুগলি জেলার ঢুলিপাড়া দিঘির ধারে ভাড়াঘরে প্রায় পাঁচ বছর থাকে আলতাব। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী৷ তার বাড়ি রাজবলহাটে।লোকচক্ষুর আড়ালে নিভৃতে প্রেম চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাতের আঁধারে বাসাবাড়ি থেকে বিবাহিতা প্রেমিকা পামেলার বাড়ি পর্যন্ত নিজে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিলেন৷ দীর্ঘদিন এভাবেই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড লাভ চলছিল তাঁদের’৷ কিন্তু তাঁদের গোপন প্রেমটি আর গোপন থাকল না৷ পামেলার স্বামী হাতে-নাতে ধরে ফেলেন নিজের স্ত্রী ও আলতাবকে।
পামেলার সঙ্গে আলতাবের সম্পর্ক বাড়ি তৈরী থেকে। পামেলার স্বামী জয় নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করেন৷ তিনি প্রতিদিন কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আলতাব প্রেমের গোপন সুড়ঙ্গ ধরে পামেলার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। জয় একদিন কাজ থেকে অন্যদিনের তুলনায় একটু আগেই ফেরেন। তিনি এসে দেখেন যে, আলতাব ঘরের সোফার নিচে লুকিয়ে পড়েছে। আর ওই সোফার নিচেই আলতাব গর্ত করে গোপন সুড়ঙ্গটি তৈরি করেছিলেন। সোফার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে দেখে জয়ও ওই সুড়ঙ্গ পথধরে এগিয়ে যায়। আলতাবের বাড়ি পৌঁছে গেলে সেখানে দুজনের হাতাহাতি হয়।
আলতাব জয়কে অনুরোধ করেছিলেন যে, তিনি যেন এই বিষয়টি তাঁর স্ত্রী’কে না জানায়। এরপরে জয় এবং আলতাব এই নিয়ে এক সমাধানে আসার চেষ্টা করে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানাতে বাধ্য হয়। এদিকে গোপন সুড়ঙ্গের খবরটি দ্রুত মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।