বুভুক্ষুর ইজেল ছুঁয়ে চলে টেরাকোটার প্রর্দশনী,
শরীরের সকল আগুন তামাটে হতে হতে হয় অগ্নিশুদ্ধ,
মুষ্টিবদ্ধ হাত জুড়ে পাথরপ্রতিম তীব্র কাঠিন্য,
মাটির তাবৎ জলীয় রঙে লেখা আছে শ্রমের মৌলিক ইতিহাস।
দুঃখের সরনী বেয়ে অনুপ্রবেশ সুখের দ্রাঘিমাংশে,
দু পা জুড়ে অনুভূতির অচ্ছেদ্য বিভাজনের রেশ,
ফুরোনো সকাল রেখে যায়নি স্বস্তির নিঃশ্বাস,
তবু দিনান্তের দীর্ঘ ছায়া মিলিয়ে যায় গোধূলির আমন্ত্রণে……
নিরন্ন রেখায় স্থিরচিত্র অন্নহীন বিপনন,
ভাঙা পাঁজরের হাড়ের গভীর চিড়ে সময়ের সূচক,
সুখানুভুতির রং বিচ্ছুরণে হারিয়ে যায় বঞ্চনার কথা, স্ফীত হয় সযত্নে লালিত অনায়াস যাপন,
ঢাকা পড়ে যায় গরম ভাতের অলীক ধোঁয়া…