রাতের মানুষ ঝুলনপূর্ণিমার রাতে গঞ্জের মেলায় ছোটমামার সঙ্গে কলকাতায় যাত্রা

অন্ধকারে রাতবিরেতে কেকরাডিহি যেতে হলে ভামপুর জংশনে নেমে অন্য ট্রেনে

ছক্কামিয়ার টমটম এমুলুকে রাতবিরেতে বাস ফেল করলে ছক্কামিয়ার টমটম ছাড়া

মুরারিবাবুর টেবিলঘড়ি ক্রি র র র রং…… মুরারিবাবু তড়াক করে

দাড়িবাবাদের কবলে তাঁকে বড়রা বলতেন তোতামিয়াঁ। আমরা ছোটরা বলতুম তোতামামা।

মুরারিবাবুর আলমারি মুরারিবাবুর একটা আলমারি কেনার দরকার ছিল। কাঠের আলমারি

নিঝুম রাতের আতঙ্ক স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে একগাল হেসে গজপতি

অদ্ভুত যত ভূত ছোটমামার সঙ্গে ছিপে মাছ ধরতে যাচ্ছিলুম। ছোটমামার

চোরাবালির চোর ছোটমামার মাথায় বড়-বড় চুল। চুল নয়, যেন সজারুর

ভয়ভুতুড়ে খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। বড় অদ্ভুত বিজ্ঞাপন। সস্তায়

কেংকেলাস গদাধরবাবু বললেন, আমার ধানবাদের পিসিমাকে তো তোমরা দেখেছ। পিসিমার

সত্যি ভূত মিথ্যে ভূত সেদিন সন্ধ্যায় ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি ঝরছে! টেবিলবাতির

হাওয়া-বাতাস সোমবার পুজোর সময় আমার মামাবাড়ির ছোট-বড় সবাই মিলে হিমালয়ে

ভুতুড়ে ফুটবল সেদিন বাড়ির রোয়াকে বসে কজন মিলে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল নিয়ে

কালো বেড়াল এই নিয়ে পরপর তিন দিন। দিন না বলে

ছুটির ঘণ্টা আমাদের ছেলেবেলায় পাড়াগাঁয়ের প্রাইমারি স্কুলকে বলা হতো পাঠশালা

সেই সব ভূত আমাদের গাঁয়ে একসময় প্রচুর ভূত ছিল। শুধু

বিবেকবধের পালা রিপদ মনমরা হয়ে বেড়াচ্ছে দেখে সদাশিববাবু জিগ্যেস করলেন,-কী

তিন আঙুলে দাদা বেচারাম এসে ঠাকুমাকে গড় করে বলল,-এবার একটা

চোর বনাম ভূত আগের দিনে চোরেরা ছিল বেজায় ভিতু। যেমন

কৃতান্তবাবুর কাঁকুলে যাত্রা বাস থেকে নেমে একটু অস্বস্তি হচ্ছিল কৃতান্তবাবুর।

ঘুঘুডাঙার ব্রহ্মদৈত্য ভূতের স্বপ্ন তো সবাই দেখে! তাই বলে কি

বাঁচা-মরা অনেক বছর পরে গ্রামে যাচ্ছি। ট্রেন লেট করেছিল। স্টেশনে

ভূত নয় অদ্ভুত সেদিন বিকেলে আমার কুকুর জিমকে নিয়ে খেলার

অদলবদল রোজ ভোরবেলা পার্কে কিছুক্ষণ বেড়ানো হরিপদবাবুর অনেককালের অভ্যাস। ৫ম

শর্মার বকলমে সত্যি বলতে কি বংশীধর অধিকারীর জ্বালায় আমাকে মীর্জাপুরের

অলৌকিক আধুলি রহস্য ইদানীং রোজ ভোরবেলা জগিং শুরু করেছি। আমাদের

খুলি যদি বদলে যায় এই অদ্ভুত ঘটনাটা আমার ছোটবেলায় ঘটেছিল।

মুরারিবাবুর মোটরগাড়ি মুরারিবাবুর গাড়ি কেনার পিছনে একটা জব্বর না হলেও

জটায়ুর পালক সেদিন খুব মন দিয়ে একটা বই পড়ছি, পায়ে

ভৌতিক বাদুড় বৃত্তান্ত গুণধর বলল,-একটা কথা বলি দাদাবাবু! বাদুড়কে রাতবিরেতে

কালো ঘোড়া ব্যাপারটা নিছক স্বপ্ন, নাকি সত্যি সত্যি ঘটেছিল, বলা

তেরো ভূতের কবলে সবে চাঁদটা উঠেছে, আর তার ফিকে জ্যোৎস্নায়

তিন নম্বর ভূত ছোটমামার সঙ্গে রাতবিরেতে কোথাও গেলে বরাবর দেখেছি,

বৃষ্টিরাতের আপদ বিপদ আমাদের গোরাচাঁদ রোডে একপশলা বৃষ্টিতেই হাঁটু জল

ম্যাজিশিয়ান মামা টুকাই তার বন্ধু কুট্টুসের কাছ থেকে একটা ভূতের

মুরগিখেকো মামদো টিমামার সঙ্গে কোথাও গিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাত্তির

ভুতুড়ে বেড়াল আমার ভাগ্নে ডন যেমন বিছু তেমনি খেয়ালি ছেলে।

ডনের ভূত সেদিন সকালে চোখ বুজে একটা রোমাঞ্চকর গল্পের প্লট

ভুতুড়ে চশমা নাতিকে কোলে নিয়ে আদর করতে গিয়ে মুরারিবাবুর চশমাটা

দুই বন্ধু আমাদের তেতলার এই ফ্ল্যাটের ঝুলবারান্দায় দাঁড়ালে বাড়িটা দেখা

ভূতে মানুষে একালের লেখকদের এই এক ঝামেলা। পুজোসংখ্যা পত্র-পত্রিকা বেরিয়ে

আজমগড়ের অশরীরী তখন আমি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহিবিদ্রোহ নিয়ে গবেষণা করছিলুম।

স্টেশনের নাম ঘুমঘুমি ভুল করে অন্য কোথাও নেমে পড়েছি নাকি?

বাঁট্টুবাবুর টাট্টু ঘোড়া ইজ ঘোড়া বাঁট্টুবাবু-ডাক্তার খাপ্পা হয়ে বললেন। এইচ

বকুলগাছের লোকটা এ আমার ছেলেবেলার কাহিনি। ইচ্ছে হলে বিশ্বাস না

রাতের আলাপ রাত দশটা বাজলেই আমাদের পাড়ায় লোডশেডিং হবেই হবে।

মুরারিবাবুর দেখা লোকটা শ্রাবণ মাসের সন্ধ্যায় তুলকালাম বৃষ্টি। সেই সময়

গেছোবাবার বৃত্তান্ত ঝিলের ধারে বসে ছোটমামা মুগ্ধচোখে চঁদ দেখতে-দেখতে বলছিলেন,–আচ্ছা