ম্যানহ্যাটানের বুকের ভেতর জেগে-ওঠা নিসর্গ-ধনী
সেন্ট্রাল পার্কের কিছু মরা পাতা
আমার মোকাসিনের তলায় আর্তনাদ ক’রে ওঠে।
লেকের ধারে সবুজাভ কাঠের বেঞ্চিতে বসে। কয়েকটি
কবুতর ইতস্তত কী যেন খুঁটছে ঘাসে।
অদূরে গাছতলায় একজন যুবক
গলা ছেড়ে গান গাইছে গীটার বাজিয়ে।
আমার পাশ দিয়ে এক জোড়া তরুণ-তরুণী পরস্পর
হাত ধরে যাওয়ার সময় আড় চোখে
দেখে নেয় মামুনের কর্মলগ্ন ভিডিও ক্যামেরা।
শাদা, ধুলোটে মেঘগুলো ভেসে যায়
মানুষের প্রতি উদাসীন। হেনরি মুরের ভাস্কর্য
অমরতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ কথা বলে
এই নম্র রৌদ্র ছায়ায়
পড়ল তোমাকে মনে। যেভাবে তুমি
আমার পাশে বসতে কিংবা কিছুদূরে ব’সে
বলতে নানা কথা হাসির আভা ছড়িয়ে, তোমার
চোখের অতল চাওয়া আমাকে করতো আদর
এই সব এই মুহূর্তে সেন্ট্রাল পার্কে হলো উদ্ভাসিত।
লেকের প্রসন্ন কিনার আমাকে হঠাৎ
স্মরণ করিয়ে দেয়, মাঝে মাঝে তুমি বলতে একটি ঝর্ণা আর
তার নুড়িগুলোর কথা, যেগুলো এখন
আমার হাতের তালুতে এক স্বপ্নপুরী হ’য়ে বাজে সেন্ট্রাল পার্কের
দুপুরে; তুমি জানলে না।