সুসময়ের অপেক্ষায় দিন ফুরিয়ে যায়
ফুরিয়ে যায় বলেই ভাবি আর অপেক্ষা নয়।
অপেক্ষা নয় ভাবতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়
হোঁচট খেয়ে ভাবি সময় এমনি পাজি হয়।
এমনি পাজি তেমন পাজি সুসময় যা দিলো
সুসময় টা ছেলেবেলা কেমন কেড়ে নিলো।
কেড়ে নিলো ছেলেবেলা সেটাই সোনার কাল
সোনার কালে সবার আদর কাটতো খুশীর কাল।
খুশীর কালে শৈশবেতে ছিলো উদ্দামতা
উদ্দামতা সব বিষয়ে ইস্কুল পাঠশালা।
ইস্কুল পাঠশালে যত নতুন বন্ধু এলো
প্রাণের আলাপ গল্পগুজব জীবন মধুর হলো।
মধুর হলো যৌবন এলো অন্য বন্ধু এলো
বাধো বাধো ভাব লজ্জা এলো আদর সোহাগ হলো।
আদর সোহাগ আর সব বাদ উৎকন্ঠা এলো
উৎকন্ঠার সাথে অন্য বন্ধু সরে গেলো।
সরে গেলো তারা বটে মনটা রঙিন হলো
রঙিন হলো জীবন সাথী সে-ও কথা দিলো।
কথা দিলো তবুও সাথে দুশ্চিন্তা ও এলো
দুশ্চিন্তা টা মনের কোণে বাসা বেঁধে গেলো।
বাসা বাঁধে মনের কোণে কাঁটা কি কেউ আসে
কেউ কি আছে সন্দেহের তীর বিয়ের আসর বসে।
বিয়ের আসর জমজমাটি প্রেমের হলো জয়
প্রেমের জয়ে নেইকো ভয় সন্তান আদি হয়।
সন্তান আদি হলে খুঁজি সুসময় টা কই
সুসময়টা ছেলেবেলায় এখন চলে অসময়ের ঢেউ।
অসময়ের ঢেউয়ে বুঝি দায়িত্ব কর্তব্য এলো
দায়িত্ব কর্তব্য ভীড়ে সুসময় হারালো।।