সরম ক্ষুধা
সন্তু ঘুম থেকে উঠেই চোখের মুখে জল দিয়ে পান্তা খেতে বসে যায়, পেঁয়াজ ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে । স্নান ত এক বিলাসিতা,মাপা জল তাও সবার সাথে মারপিট করে যোগাড় করতে হয়। পেঁয়াজ অর্ধেক রেখে দেয় বাপের জন্য । বড়ো বোকা ভালমানুষ ঐ বাপটা। অভাব যখন চরমে, মা’টা চলে গেল এক পয়সাওয়ালার ঘরে। বুড়ো বলে,
” আহা তোর মা এখন খেতে পাচ্ছে বল?”
সন্তু রোজগার করে, কোনক্রমে সংসার চলে, বাপ ভাত রাধে। মাঝে মাঝেই সন্তুর বড্ড খেতে ইচ্ছা হয়, কাতলা কালিয়া, কচি পাঁঠার মাংস, হাঁসের ডিমের ডালনা, নিমসুক্তো, মসুর ডাল। এসব সে খাবে কি ভাবে, পয়সা যা পায় তাতে কুলোয় না। কিন্তু রোজ নাকে গন্ধ টেনে যায় । আরও কয়েকটি ডেলিভারি পেলে ভালো, কিন্তু সাইকেলে যে আর টিফিন ক্যারিয়ার ঝোলানো যাবে না। মোট আটটি করে সে রোজ দুপুরে খাবার যাকে বলে “লাঞ্চ ” জোগানদারীর কাজ করে এক অফিসে, সোম থেকে শুক্রবার, সকালে দুধ কিছু বাড়ি, নাঃ, কুলোয় না। দুজনের থাকা খাওয়া পোষাক আর আর আর— ছাব্বিশ বছর বয়সের জ্বালা ।