পৃথিবীর পাহাড় গড়িয়ে নেমে আসছে হেমন্তের নদী ।
সবুজ বাড়ির বাষ্প হাঁ গিলে ফেলবে না তো !
কবি কাঁদছেন ।
আগ্নেয়শিলার বিমূর্ত বিছানায়
ঘুমিয়ে আছে বিশিষ্ট কবিতার সম্ভাবনা ।
অতৃপ্তির চিল ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে না তো !
ভাস্কর ভাবছেন ।
বিশাল মানচিত্রের মুক্ত মঞ্চে সারিসারি ক্ষমতার তরবারি
কীভাবে যুদ্ধে মারবে ও মরবে পরস্পর !
অহিংস নাট্যকার নৃশংস রক্তপাত মাপার চেষ্টা করছেন ।
এপিক উপন্যাসের মামুলি মূল চরিত্র
সৃষ্টিকর্তার ভাবনার বৃত্ত ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে
বৃহত্তর এবং মহত্তর ময়দানে ।
কথাশিল্পী নির্বাক তর্ক জুড়ছেন চরিত্রের সঙ্গে ।
কবি , ভাস্কর , নাট্যকার , কথাশিল্পী …
কেউই সম্যক সুখী নন ।
অ-ভাবুক বিশুদ্ধ সাধারণতন্ত্রের দল
যাচ্ছিলো হৈ হৈ খিচুড়ি ও বেগুনীর ক্ষেতে ।
বিদগ্ধ সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন
— সুখ কোথায় ?
ভেসে এলো শ’য়ে শ’য়ে সমস্বর
— সুখ আমাদের শরীরেই আছে
দেখবেন তো চলুন মাটি পিকনিকে ।