বরষাবিষন্ন বেলা কাটালাম উন্মন আবেশে ।
জনশূণ্য হৃদয়ের কবাট উদ্ঘাটি’,
স্মরণে চলাচল করিলাম সহজ, সরল |
দৃষ্টিহারা নেত্রপাতে দেখিলাম সন্নত আকাশে
এইমতো আর-এক দিবসের ছবি ।
অবিশ্রান্ত বৃষ্টির বিলাপে
শুনিলাম সে কণ্ঠের স্নেহসম্ভাষণ ।
অর্গলিত বাতায়নে ঝটিকার নিরর্থ আক্রোশে
বিচ্ছেদবিধ্বস্ত হিয়া বাখানিলো ক্ষুব্ ধ অক্ষমতা
নির্বিকার, নিরুত্তর, রুক্ষ বিধাতারে ||
এলো সন্ধ্যা রক্তবরিষণ ;
দিনান্তের মুমূর্ষু বর্তিকা
প্রাকনির্বাপণ দীপ্তি প্রজ্বলিত করিল সহসা
প্রাণের অন্তিম শক্তিব্যয়ে ;
তার পর অন্তরে বাহিরে
অন্ধকার বিস্তারিল শবপ্রাবরণী ||
মনে হ’লো আশা নাই
মনে হ’লো ভাষা নাই পিঞ্জরিত ব্যর্থতা বলার ।
মনে হ’লো
সংকুচিত হ’য়ে আসে মরণের চক্রব্যূহ যেন ।
মনে হ’লো রন্ধ্রচারী মুষিকের মতো
শটিত জঞ্জালকণা কুড়ায়েছি এতকাল ধ’রে
কৃপণের ভাণ্ডারে ভাণ্ডারে ;
এইবার ফুরায়েছে পালা,
ঘাতক যন্ত্রের কারা অবরুদ্ধ হ’লো অবশেষে ;
এইবার উত্তোলিত সম্মার্জনীমূলে
পিষ্ট হবে অচিরাৎ অকিঞ্চন উঞ্ছবৃত্তি মম ||