উথ্বান —তার শেষ নেই কোনো, শেষ নেই দস্যুতার
ভোরের বেলায় শূন্যে উঠেছে পরশুরামের কুঠার ।
ত্রিসীমায় কোনো সঞ্চার কেউ রাখবে না কোনোভাবে
যেখানেই যত সবুজ রক্ত সবটুকু শুষে খাবে
নিঃসাড় করে দিয়ে যাবে সব সেগুন শিমুল শাল
আজ যাকে বলো বনভূমি তাকে জনভূমি বলো কাল
নান্দীমুখর দশদিগন্ত হারিয়ে ফেলেছে খেই
মনে হয় এই জীবনে কোথাও কোনো প্রতিরোধ নেই
সেই মুহূর্তে কোথা থেকে এসে দিশাহীন প্রাঙ্গনে
পঁচিশটি মেয়ে পঁচিশটি গাছ বেঁধেছে আলিঙ্গনে ।
পঁচিশটি মেয়ে পঁচিশটি শিখা জড়াল আলিঙ্গনে
পরাদৃশ্যের মাধখানে ওরা আশ্বাসে দিন গোনে
বাকলে বাকলে জড়িয়ে গিয়েছে পঁচিশ মেয়ের প্রাণ
শরীরে শরীরে জেগে ওঠে য়েন বড়ে-গোলামের গান—
সামনে কেবল স্থির থেকে যায় রোদ্দুরে ঝকঝকে
উদ্যতফলা পঁচিশ কুড়াল — দূর থেকে দেখে লোকে
দূর থেকে দেখে লোকে ;
ও-মেয়েরা আর মেয়ে নয় ওরা টুনটুনি বুলবুলি
মেয়ে হয়ে আজ দাঁড়িয়ে রয়েছে সমস্ত গাছগুলি ।