শ্রী জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা
স্কন্দপুরাণে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গুন্ডিচা মন্দিরে যিনি স্বয়ং ভগবানের দর্শন লাভ করবেন, তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করেন। সত্যিই শ্রী জগন্নাথ দেব স্বয়ং নারায়ণ , এবং তিনি জগতের নাথ । শ্রীক্ষেত্র পুরীতে এখন এক বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই বিশেষ দিনটিকে আবার জগন্নাথ দেবের জন্মতিথি বলে মনে করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস স্নানযাত্রার দিনে যদি জগন্নাথ দেবের দর্শন করা হয়, তাহলে যাবতীয় পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অসংখ্য ভক্ত সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দির। প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই স্নানযাত্রার আয়োজন করেছিলেন। স্নানযাত্রার দিনে মন্দিরের উত্তর দিকের কূপ থেকে জল এনে বিশুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তার শুদ্ধিকরণ করা হয়। তারপর ১০৮ টি কলসীর জলে বিগ্রহগুলিকে স্নান করানো হয়। প্রচলিত ধারণা, এই স্নানের পরেই জ্বরে আক্রান্ত হন জগন্নাথ দেব। তখন রাজবৈদ্য তাঁকে চিকিৎসা করেন। এইসময় ভক্তেরা দেবতার দর্শন পান না। এই সময়কাল ‘ অনসর ‘ নামে পরিচিত। কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বেদিক পাঁচন খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে জগন্নাথ দেব সুস্থ হয়ে ওঠেন। শ্রীক্ষেত্র পুরীতে স্নানবেদীটিকে ফুল, মালা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়।।