জীবন মানে ফুল অন মস্তি..!
ফুল অন স্বাধীন চিন্তা,
নিজের মতো স্বাধীনভাবে থাকা-
জীবন মানে রাত জাগা…
ইচ্ছে সময়কে শব্দের জাগলিং এ বেঁধে রাখা..!
গ্ৰীণ টি’র ধোঁয়া ওঠা ঘ্রাণে,
বেলা করে ঘুম ভাঙা..!
ছোট্ট বাইট টোস্টে,
জুতো জোড়া পড়তে পড়তে ছোটা-
সময়ের কাঁটায় ব্যাকপ্যাক সাথে
টু হুইলারে অফিস ছোটা।
লাঞ্চ বক্স ফেলে…ক্যান্টিন যেতে ভুলে যাওয়া..!
প্রোজেক্ট, প্রেজেন্টেশনে ব্যাস্ত থাকা।
কাজ শেষে রিল্যাক্স মুডে ক্যাফেটেরিয়ায়,
হাসি,গল্প, হুল্লোড়..
চার ছটা সিগারেটের ধোঁয়ায়-
দেদার আড্ডায় মাতা,
বোহেমিয়ান জীবনের পানসীতে ভাসা..!
সমুদ্র নীল জলরাশি ভাঙতে ভাঙতে
….মস্তির শ্বাস,
আছড়ে পড়ে হাসপাতাল সৈকতে;
একদল বিষাক্ত কাঁকড়া বিছে,
পাঁজর ফুটো করে রঙীন পাখা মেলেছে,
হঠাৎ এক ধাক্কায় জীবন যায় থমকে।
…স্টেজ ফোর..!
অকস্মাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে হাতুড়ির ঘা পড়ে,
টলতে টলতে দু’হাতে মুখ-চোখ চেপে বসে পড়ে..
কাঁপা ঠোঁটের আর্তনাদ;
মরতে আমি চাই না-আ-আ-আ..!
তবুও,
মুঠোর ফাঁক গলে ঝরতে থাকে বিষন্ন বেলা।
ক্যামোর প্রলয়ে গোছা গোছা চুল,
কাঙ্গাল বাতাসে উড়ে ;
যন্ত্রণার রাতগুলো বাতাসকে ভারী করে
ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে আসে,
নোঙর বিহীন ভাঙা তরী ডুবতে থাকে…
শ্লেষাজড়িত চাপাস্বরে শেষ কথাটি বলে,
“আর পারি না…চল্লাম”!..
হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনিতে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে পড়ে,
চারদিক আশ্চর্য শান্ত, স্তব্ধ, বিষন্ন কালো,
অন্ধকার সুড়ঙ্গে নিস্পন্দ শরীর একা একা পথ ভাঙে;
ঝিমিয়ে পড়া আধখোলা চোখ,
ভোরের আলো ছড়ানো শেষ সূর্য দেখে;
জানালার গরাদে মুখ চেপে লতানো মানিপ্ল্যান্ট,
সূর্যের আলো গায়ে ঘষে ঘষে মাখে।।