দুর্মর এক অস্থিরতা লোকটাকে, বলা যেতে পারে,
পেয়ে বসেছিল। নিজের ভেতর কেমন
ওলট-পালট বোধ করত। কোনও কোনও সময়
মনে হতো ওর, উন্মত্ততা ধেয়ে আসছে ষাঁড়ের মতো,
যার শিঙে বিদ্ধ হওয়া ছাড়া গতি নেই। লোকটা
দিনদুপুরে হাজার তারার চিৎকার শুনত,
দেখত জ্যোৎস্নার উথাল-পাথাল গাঙ। কখনও কখনও
নিশুত রাতে চৈত্র দুপুরের আর্তনাদে লোকটা বিয়োগান্ত
পল্লীগাথা হয়ে যেত। সে ওর ভেতরে নগর পতনের
আভাস অনুভব করত নতুনভাবে।
সুর তুলতে চাইত সে, অথচ ওর কণ্ঠে ছিল না সুর,
একে একে বাঁশি, বীণা সেতার, সরোদ,
গিটারের কাছে সুর ভিক্ষা করে শুধু বিফলতার
মুখ দেখতে দেখতে লোকটা নিস্তব্ধতার ধ্যানে
মগ্ন হ’ল আর কী আশ্চর্য, এখন কোনও কোনও
গভীর রাতে ওর চোখ, কান, নাক, আঙুল,
কপালের শিরা এবং সবচেয়ে বেশি বুক থেকে
এক অনিন্দ্য সুর জেগে ছড়িয়ে পড়ে নিস্তব্ধতাকে বিহ্বল করে।