হৈমন্তী হাওয়ায় গা ভাসিয়ে
শুক্লপক্ষের বাঁকা চাঁদের মায়ায় জড়িয়ে
নৈর্ঋতে নামা সন্ধ্যার বুকে প্রতিধ্বনিত
তোমার উদাসী মনের অর্চনা বনফুলে দোলে,
বলাকার ডানায় ভর করে
কোয়েল-দোয়েলের শীষে অভিঘাতী কম্পনে
হর্ষ-বিষাদ মাখা তেজস্বী চোখের আদরে
মুখোমুখি বসে লবঙ্গ লতিকা — আজ তোমার মুখাপেক্ষী আমি।
আমি স্বাধীনতা চাই না,
বাউন্ডুলে জীবনের যত স্বেচ্ছাচারী মুক্তির শ্বাস
অথবা সাড়ে তিন হাত ভূমি তলে রক্ত-মজ্জা-অস্থি খেয়ে বেড়ে ওঠা সকল আকুতির বায়বীয় সৃষ্টিতত্ত্ব
বন্দী থাকুক তোমার শরীরী গন্ধে,
আমার জন্মান্তরের আমারত্বকে রেখো ধরে,
শত অভিমান-বিরক্তি-বিতৃষ্ণা আর অবহেলার আড়ালে
আমাকেই উদ্ধার কোরো তুমি নবরূপে,
জীবনদায়ীনি সঞ্জীবনী হয়ে থেকো আমার সকল প্রসিদ্ধ-নিষিদ্ধ পারাবার জুড়ে,
থেকো আমার অসীম-অনন্ত হৃদয়াকাশ জুড়ে।