চলো
অ্যাক্সিডেন্ট, ধানখেত, হাত কেটে বের করে এনে দেব
তোমার ছেলেকে
‘বিপদেও ঠাট্টা ছাড়ব না’
এনে রাখো নরম মাংস, কিছু দ্রাক্ষা
বাড়ির সামনে গড়ে তোলো মাধবীনিকুঞ্জ
তুলে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব, ফুল দিক আমার বাড়িতে
ভাল জামা পরে এসো
‘বিভাস একদিনের জন্য দিস’— এই লোভ থেকে যাবে, মরে গিয়ে
তোদের আলনা থেকে তুলে নিয়ে উঠে যাব ছাদে, বেলগাছে
গায়ে দিয়ে মহাশূন্য থেকে ফেলে দেব
কাদার ভেতর—
স্প্যানিয়েল— রাত্রে তার
ডাক শোনো— আমার ভয়েস
আমার গৌরব— এই বাণী প্রচারিবে।
প্রকৃতির দিকে গিয়ে ব্যাগ থেকে বিড়ালের বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিই
বলি: তোরা যা, তোরা যা পুষি
ভাল থাক অসীমের মধ্যে, গরিবের বাড়ি থেকে চুরি কর
হাঁড়ি মুখে করে নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখ কাশবনে।
ঋষি বলেছেন: কোনও রাষ্ট্র এইভাবে বেশিদিন চলতে পারে না
ডাকো: মার্ক্স সাহেবকে
[টানাটানি করো, যদি উনি ছিঁড়ে যান, লাগবে না?]
প্রান্তিক চাষিকে ঋণ কে দিচ্ছেন?
তুমি টর্চ মারো ধানে, ধান কি মায়ার, বিস্ময়ের, শরতের
যদি দোলে তাও শরতের।
তুমি একা নও,
প্রতিনিধিত্ব করছ একটা শ্রেণির
অনন্য ড্রয়িংরুমে, প্রেমে, সোফায়, পোস্টারে
একটি মেয়েকে যদি এনে রাখি, সমাজের থেকে কোনও গাছ
তুলে দিই তার ডানদিকে, একখানা ডাল তার মাথার ওপর
দিয়ে নিয়ে যাই, সবশেষে রাখি রিং, পুষ্প
বাতাস দোলাচ্ছে যাকে, চুক্তি না করেই
তার সব চুল হাত দিয়ে খুলে নাও স্বপ্নে।
‘এইভাবে কোনও রাষ্ট্র বেশি দিন চলতে পারে না।’
চলো তবে ফিরে যাই আবার বিপ্লব করি, লোককে বোঝাই
মাস্টারের দোষ বেশি ছিল গতবার, এবারেও
মাস্টারের দোষ বেশি দেব, যুগে যুগে তারা দেখা দেন
স্কুলে, ছাতিম তলায়।
পথ আছে, ওগো শ্যাম, পথ আছে
আমি শোষণ করার রীতি পালটিয়ে ফেলেছি, তোমাকে দিয়েই
আমি তোমাকে শোষণ করে যাব
বন কেটে কলেজ বানাও
পাড়ায় পাড়ায় রক, কফি হাউসের রঙ্গ
তারপর মাসে মাসে কি অনন্য পঞ্চাশটি টাকা
যদি বিপ্লব পিছিয়ে দিতে পারো।
বলি: তোরা যা, তোরা যা পুষি
ভাল থাক অসীমের মধ্যে, হাঁড়ি মুখে করে
নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখ কাশবনে।