Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » রবীন্দ্র-সঙ্গীত || Nirmalendu Goon

রবীন্দ্র-সঙ্গীত || Nirmalendu Goon

ধূলির ভিতরে কোনো জীবরেন গান আছে কনিা,
জানে রুদ্র বৈশাখের বিহ্বল বাতাস, সে তাকে ওড়ায়।
নদীর চঞ্চল স্রোতে মিলনের সুর আছে কিনা
সে কথা সমুদ্র জানে, সে নদীকে টানে।

পাতার মর্মরধ্বনি বাঁধা আছে কীভাবে নিশ্ছদ্র ধ্রুবপদে
কোন ফুল ফোটে কোন গানে, জানে তা বনের পিক।
সে থাকে পাতার নিচে, বনে। তুমি কবি
মানুষের ঘরে জন্ম, তাও গ্রাম নয়, তবু মনে হয়
তুমি পাখি, তুমি নদী, তুমি সত্য সবার অধিক।
তুমি পাখির অধিক পাখি, ফুলের অধিক ফুল।

আমি নই জাতশিল্পী, উপরন্তু কণ্ঠ নেই সাধা,
প্রাণ যদি পূর্ণ মেলে, কণ্ঠ মেলে আধা।
তাই, নির্জনে নিভৃতে বসে অপ্রকাশ্যে গাই,
তোমার সঙ্গীতগুলি। দুঃসাহস কোথায় লুকাবো?
তোমার কবিতা পড়ে ভালো থাকি, গুন শুনে দিন যায়,
স্বপ্নভ্রষ্টক্ষতবিশ্বে সেরে উঠি তোমার সুরের শুশ্রূষায়।

দুপুরের দৈব রোদে গলে আমার বসনখানি
পথশ্রমে বারবার ভীষণ অচেনা হয়ে ওঠে;
কতো দূরে বাজে সেই গান আর পাতার মর্মর?
নিজের ভিতর থেকে পরগুলি খুলে খুলে দেখি,
পরের অপরে মিশে তারপর লেখি তার নাম
পথ যাকে পথপ্রান্তে কোনোদিন করে না স্মরণ।

দুপুরের রোদে তবু পথিকের সামান্য বিশ্রাম
পূর্ণ করে সুরের অঞ্জলী, রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলি
হৃদয়ে তরঙ্দ তোলে, মিলনে মিলায় ঘৃণা।
তখন তরঙ্গ বুঝি, তার অনুষঙ্গ যদিও বুঝিনা
জলে স্থলে দুর্বাদলে, আলোকে আঁধারে যারে
দেখিবারে চাই, অথচ যে মুখখানি সম্পূর্ণ দেখি না
তোমার ঝংকৃত তারে তার মুখ কিছু চেনা যায়।
গেরুয়া বসনে ঢাকা সে মুখে সামান্য ইশারায়
মৃতের মনুষ্য জন্ম জীবনের পূর্ণতাকে পায়।
অখন অনন্ত বুঝি, তাকে অফুরন্ত যদিও বুঝি না।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress